- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৬, ২০২৪
বিজেপির বুথ সভাপতির রহস্যমৃত্যুতে চরমে রাজনৈতিক তরজা

বিজেপির বুথ সভাপতির রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ছড়াল ব্যাপক চাঞ্চল্য। মন্তেশ্বরের জামনা পঞ্চায়েতের সেলিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অভিজিৎ রায়ের (৪০)। তিনি দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। তিনি মন্তেশ্বরের বিজেপির ১৬৮ নং বুথের সভাপতি ছিলেন। তিনি ভোটের দিন বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন। এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি, ঘটনাটি পুরোপুরি পারিবারিক। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের ধারা অব্যাহত রাখতে তৃণমূল ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়। ঘটনার প্রতিবাদে ও ‘খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি’তে বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্তেশ্বর থানা ঘেরাও করে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ‘তৃণমূল এ রাজ্যে একদলীয় শাসন কায়েম রাখতে অন্য দলের অস্তিত্ব লোপাট করতে চায়। বিজেপি যেহেতু শক্তিশালী তাই বিজেপির নেতা-কর্মী-কার্যকর্তাদের টার্গেট করেছে। ভয় পেয়ে হিংসার পরিবেশ তৈরি করছে।’ ভোটের পর থেকে অভিজিৎ ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ বিজেপির। বিজেপি নেতৃত্বের যুক্তি, মাটি থেকে মাত্র ৪ আঙুল উঁচুতে অভিজিতের দেহ ঝুলছিল। যেটা আত্মহত্যার তত্ত্ব খারিজ করে দেয়। এমনকী ঘটনাস্থলে ধ্বস্তাধ্বস্তির প্রমাণও রয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ওই দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি। তাঁর কথায়, ‘এটা কি সম্ভব? সবাই যখন বুঝছে, মন্তেশ্বরে আমাদের ফল ভাল হবে। তখন তৃণমূল এসব করতে যাবে কেন? তৃণমূল হিংসায় বিশ্বাসী নয়। উন্নয়নের নিরিখেই জিতবে। ভোটের ২ দিন পার হওয়ার পর একটা পারিবারিক দুঃখজনক ঘটনাকে রাজনীতির রং চড়িয়ে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছে বিজেপি। ভোটে না পেরে ইডি-সিবিআই, লাশ খোঁজার রাজনীতিকেই আঁকড়ে বাঁচতে চাইছে বিজেপি।’
বিজেপি গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেও মৃত অভিজিতের বাবা অরুণ রায় এই দাবির সঙ্গে সহমত নন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি জানি না কে করেছে? তাহলে তৃণমূলকে বলব কেন? ছেলেকে বারবার পার্টি করতে বারণ করতাম। শুনত না।’ তাদের পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও মানতে চাইলেন না অরুণবাবু। সেইসঙ্গে তিনি কবুল করলেন, ‘বাড়িতে ছেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর প্রায়ই অশান্তি হত। সেইসময় ছেলে বলত গলায় দড়ি দিয়ে মরব।’ বুধবার রাতেও অশান্তি হয়েছে বলে পরিবার সূত্রের খবর। এরপর গ্রামেই যাত্রা দেখতে যায়। আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ির পাশে অভিজিতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
❤ Support Us