Advertisement
  • দে । শ
  • ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

এ পর্যন্ত ৯টি কাটোয়ার ভাগীরথী থেকে উদ্ধার মৃত ডলফিন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
এ পর্যন্ত ৯টি কাটোয়ার ভাগীরথী থেকে উদ্ধার মৃত ডলফিন

পূর্ণবয়স্ক ডলফিন বা গাঙ্গেয় শুশুকের দেহ উদ্ধার হল কাটোয়া শহর লাগোয়া ভাগীরথীর কাশীগঞ্জ ঘাটে। মৃত ডলফিনটিকে ভাসতে দেখার খবর পেয়ে বন দপ্তরের কর্মীরা এসে সেটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। এই নিয়ে এ বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯টি গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বনবিভাগের কাটোয়া বিভাগের রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিনহা বললেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই পরিষ্কার হবে ঠিক কী কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে।’ এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কেতুগ্রাম থেকে কাটোয়া পর্যন্ত ভাগীরথীতে প্রায়ই গাঙ্গেয় শুশুকের দেখা মেলে। নদীতে যারা মাছ ধরে, তাদের জালে আটকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
তবে এবার উদ্ধার হওয়া ডলফিনটির দেহে পচন ধরে গিয়েছে বলে জানালেন বনকর্মীরা। ধারণা, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ডলফিনটির। বন দপ্তর সূত্রের খবর, কেতুগ্রামের কল্যাণপুর থেকে কাটোয়া হয়ে পূর্বস্থলীর পাটুলি পর্যন্ত ভাগীরথীর প্রায় ৩২ কিমি দীর্ঘ এলাকাটি হল গাঙ্গেয় ডলফিনের প্রজনন ও বিচরণক্ষেত্র। এই এলাকার দূষণমুক্ত পরিবেশের কারণেই ডলফিনের বাড়বাড়ন্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই এলাকায় ৩৫টি ডলফিনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। কেতুগ্রামের শাঁখাই ঘাটে গড়ে উঠেছে ডলফিন সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র। ডলফিনের বিচরণক্ষেত্র চিহ্নিত করে জিপিএসের মাধ্যমে রুটম্যাপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বন দপ্তর। ডলফিন অধ্যুষিত নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জীবিকা, জীবনযাত্রার বৈশিষ্ট্য নিয়ে ডেটাবেস তৈরির কাজও শুরু হয়েছে, যাতে ডলফিন সুরক্ষায় মানুষকে সচেতন করা যায়। কিন্তু এত করেও ডলফিনের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। ২০২২ সালে ৩টি, ২০২৩ সালে ২টি ও এ বছর ৯টি ডলফিনের দেহ উদ্ধার হল। এলাকার পরিবেশ বিশেষজ্ঞ দেবব্রত মুখার্জি বলছিলেন, ‘ডলফিন বা গাঙ্গেয় শুশুকের এই প্রজাতিটি বিপন্ন। তাই মৃত্যু এড়ানোর জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!