- ব | ই | চ | র্যা রোব-e-বর্ণ
- জুলাই ৭, ২০২৪
বিম্বিত পারিপাশ্বির্কের অনভূতি

নব্বই দশকের কবি রিমি দে-এর কাব্য গ্রন্থ “দরোজা খোলা থাক” প্রকাশিত হয় বইমেলা (১৪৩০)-য়, কাব্য গ্রন্থের নামকরণ স্পষ্ট হয়ে যায় বইয়ের উৎসর্গ পাতায়, “দরোজার দুই পারের শূন্যদের” সেই শূন্যতার রহস্য উন্মোচনের প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া করা হয়েছে —
“দরোজা একটি খোলা মাঠ/ দরোজা একটি রহস্যঘন পাঠ”
দরোজা এখানে প্রতীক মাত্র যা ‘এগোচ্ছে না/ পেছোচ্ছে না/ তখন থেকেই ঘর, ঘরের ভেতরে বাইরের পদছাপ । ‘ সেকারণে হয়তো কবি কবিতাগুলোর আলাদা করে কোন নামকরণ করেননি । সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থটি যেন আপাত কোলাজ । নিষ্ঠুর বাস্তবতার মধ্যে ছড়িয়ে আছে, দর্শনের সমধ্বনি । কিন্তু ভিন্ন অর্থবোধক শব্দের মালা, সঙ্কেত বা আভাস স্পষ্ট বলেই বিকল্প অর্থের ধারণাও এখানে সম্ভব হয়ে উঠেছে । কবি তাঁর সমগ্র কাব্য জুড়ে দরোজার ভেতর ও বাইরের টুকরো টুকরো ছবি সাজিয়েছেন । মনের চিত্রকল্প অনেকটা রানিং ট্রান্সফরমারের মতো যা অতি সহজে অবিরল ও বিশৃঙ্খল তথ্যগুলি হজম করে শিল্পের ভিত গড়ে তোলে ।
রিমি জানেন, দরোজার বাইরে যে রাস্তা সে রাস্তায় কীভাবে বের হতে হয়, কোন ‘ যুক্তি ছাড়াই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে খুলে যায় হাজারো জানালা ! হাওয়াকে লালন করি/ শরীরের আনাচ-কানাচগুলি পুষে রাখার জন্য…।’ দরোজা একটি কাচের দেওয়াল যার একপাশে পাশে দাঁড়িয়ে কবি ওপাশের দৃশ্য দেখেছেন অর্থাৎ কবিমন নিজস্ব মনোজগতের আয়নায় প্রতিফলিত অনুভূতি ছাড়াও দরোজা যা কাচের দেওয়ালের প্রতিরূপ, তাকে ভেদ করে সরাসরি দেখতে পেয়েছেন প্রকৃতি, আর প্রকৃতিতে ঘটমান ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে সরোবর, নদী,জল রূপে। জীবনের প্রবহমানতাকে ধরে রাখতেই যেন ‘নদী’ ও ‘জল’ শব্দটি ব্যবহিৃত হয়েছে একাধিক কবিতায়। সরোবরের থমকে থাকা জলে অঝোরে ঝরে পড়েছে শ্রাবণ। দরোজা বন্ধ করে রাখেননি কবি বরং বলেছেন, নির্ভয়ে থাক/ বন্ধ
রিমি দে-র কবিতা সংকলন: দরোজা খোলা থাক
প্রকাশক: বিয়ন্ড হরাইজন পাবলিকেশন । ₹ ২০০
❤ Support Us