- স | ফ | র | না | মা স | হ | জ | পা | ঠ
- এপ্রিল ২৫, ২০২৩
বাংলা সহ ছয় ভাষায় পাঠকের অবিনব আসর।ভূস্বর্গে গড়ে উঠছে দেশের সর্ববৃহৎ ‘গ্রন্থ গ্রাম’
সন্ত্রাস ও হিংসা ও হানাহানি বিধ্বস্ত কাশ্মীরে জ্ঞান চিন্তন ও মননের আলো জ্বালাবে বান্দিপোরা। জেলার আরাগ্রামে গড়ে উঠছে দেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থগ্রাম। কাশ্মীরি, ইংরাজি, হিন্দি, উর্দু ,মারাঠি, বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষার সৃজনশীল সাহিত্য ও প্রাচীন স্থাপত্য,চিত্রকলা ও ভাষ্কর্য সামগ্রীতে সেজে উঠবে সমগ্র জনপদ।
সম্পূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ ও রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে ‘সরহদ’ নামক একটি এনজিও সংস্থা। জম্মু-কাশ্মীর সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন সংগঠনের কর্মকর্তারা। তাঁদের কথায়, এব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয় , এমন উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে প্রশাসনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে উদ্যোগী। সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন, সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে তাঁদের স্বপ্নের গ্রন্থ গ্রাম।
আরাগ্রামকে বেছে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে এনজিও কর্মকর্তারা গ্রামটির অবস্থানের ওপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। পাহাড়ী উপত্যকার কোলে অবস্থিত এ জনপদটি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। এখানে যাঁরা আসেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিশেষ প্রশংসা না করে থাকিওতে পারেন না। সংগঠনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বই পড়ার জন্য শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশের প্রয়োজন। যার অভাব এখানে পাঠকরা কখনোই অনুভব করবেন না। নিজেদের অবসর সময়ে বই পাঠের জন্য এখানে তাঁরা অনায়াসেই ভিড় জমাতে পারবেন এবং ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বই পাঠের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
সংস্থার পরিকলনা রয়েছে, মূল গ্রন্থাগারে সাহিত্যধর্মী রচনার সঙ্গে নানা বিষয়ের ওপর প্রাচীন পুঁথির রাখার বন্দোবস্ত করবেন। যার মাধ্যমে কাশ্মীরের অতীত ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন পাঠকরা।সেসঙ্গে থাকবে কমিউনিটি হল। যেখানে পাঠক ও লেখকরা মননশীল আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সমগ্র গ্রাম জুড়ে শত শত পুস্তকসম্ভার সজ্জিত হবে। যাতে পাঠকরা যেকোন জায়গাতেই বই পাঠের সুযোগ পেতে পারেন । সে সঙ্গে থাকবে কাশ্মীরের আঞ্চলিক সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানের মধ্যে সেতু বন্ধনের এ যেন এক অভিনব প্রচেষ্টা।
❤ Support Us