- দে । শ
- এপ্রিল ১১, ২০২৩
সংখ্যাতত্ত্বে অনন্য নজির, ১০২ এর ভারতীয়-মার্কিন সংখ্যাতত্ত্ববিদ কালিয়ামপুড়িকে নোবেল সমতুল্য পুরস্কারে সম্মানিত করছে আন্তর্জাতিক স্ট্যাটিস্টিক্যাল কংগ্রেস
ভারতীয়-মার্কিন সংখ্যাতত্ত্ববিদ কালিয়ামপুড়ি রাধাকৃষ্ণ রাও এর দশকের পর দশক ধরে নিরলসভাবে সংখ্যাতত্ত্বের চর্চাকে স্বীকৃতি জানাচ্ছে ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল কংগ্রেস। সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে এই সম্মান নোবেল পুরস্কারের সমতুল। সংখ্যাতত্ত্বে তাঁর গবেষণা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
কালিয়ামপুড়ি রাধাকৃষ্ণ রাও শতবর্ষ পেরিয়েও সজীব। এখন তাঁর বয়স ১০২ । কানাডার অটোয়ায় চলতি বছরে জুলাই মাসে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটে দ্বিবার্ষিক ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিক্যাল কংগ্রেসে তাঁর হাতে সংখ্যাতত্ত্বে অবদানের জন্যে আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কারের অর্থমূল্য ৮০ হাজার ডলার।
এব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন স্ট্যাটিসটিক্স ফাউন্ডেশনের তরফে গাই নাসন বলেছেন, সংখ্যাতত্ত্বে বৈপ্লবিক অবদান রেখেছেন কালিয়ামপুড়ি রাধাকৃষ্ণ রাও। ১৯৪৫ সালে ক্যালকাটা ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটির বুলেটিনে কালিয়ামপুড়ি রাধাকৃষ্ণ রাওয়ের যে গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে যে তিনটি মৌলিক সূত্রের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন তা আধুনিক বিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই তিন সূত্র হলো ক্র্যামার-রাও নিম্নসীমা বিধি, রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিয়োরেম এবং ইনফরমেশন জিওমেট্রি।
কৰ্নাটকের তেলুগু পরিবারে জন্ম কালিয়ামপুড়ি রাধাকৃষ্ণ রাওয়ের। স্কুলশিক্ষা অন্ধ্রপ্রদেশে। ১৯৪৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংখ্যাতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। এরপর ডক্টরেট করেছেন কেমব্রিজ থেকে। ১৯৬৫ সালে কেমব্রিজ থেকে ডিএসসি করেছেন ।
কালিয়ামপুড়ি রাধাকৃষ্ণ রাওয়ের কর্মজীবনের পরিসর বিস্তীর্ণ। কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর হিসেবে। এছাড়া কাজ করেছেন কেমব্রিজের অ্যানথ্রোপলজিক্যাল মিউজিয়ামে। তিনি জওহরলাল নেহেরু অধ্যাপক, ন্যাশনাল প্রফেসর অব ইন্ডিয়া ছাড়াও অধ্যাপনা করেছেন পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সেন্টার ফর মাল্টিভ্যারিয়েট অ্যানালিসিসের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন।
১০২ বছরের এই মানুষটি আক্ষরিক অর্থেই একজন কর্মযোগী। বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ প্রফেসর এবং পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এমেরিটাস প্রফেসর হিসেবে এখনো তিনি কর্মরত। ১৯৬৮ সালে এই গণিতজ্ঞকে পদ্মভূষণ এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে কেন্দ্রীয় সরকার।
❤ Support Us