- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ২২, ২০২৪
৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল, ঘোষণা হাইকোর্টের। রায় ঘিরে প্রশ্ন মমতার

ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য । তারা ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল বলে ঘোষণা করল ।আজ এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। । উচ্চ আদালতের রায়ে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল অবধি তৈরি হওয়া প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র মুল্যহীন হয়ে পড়ল।
প্রায় ১২ বছর ধরে চলা মামলাটির রায়দানে জানানো হয়েছে, ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া একটি ওবিসি সার্টিফিকেটও যথাযথ আইন মেনে তৈরি হয়নি। তাই এই রায় ঘোষিত হওয়ার পর ওই শংসাপত্রের মাধ্যমে চাকরির আবেদন গৃহীত হবেনা । তবে ওই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে যারা ইতিমধ্যে চাকরি করছেন বা আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছেন , তাঁদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাঁদের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র বাতিল হবেনা। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে , অনগ্রসর শ্রেণী সংরক্ষণ তালিকায় কারা থাকবে তা তৈরি করবে রাজ্য বিধানসভা। রাজ্যকে ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুসারে নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে ,যা করবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন। তাঁদের এই তালিকা পাঠাতে হবে বিধানসভায়। বিধানসভা যাদের অনুমোদন দেবে, তারাই পাবেন শংসাপত্র।
২০১২ সালে করা এই মামলায় মামলাকারীদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ তৈরি করে বামফ্রন্ট সরকার। নাম দেওয়া হয় ‘ওবিসি-এ’। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই তারা অনগ্রসর শ্রেণীর তালিকা তৈরি করে এবং আইন প্রণয়ন করে। ফলে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে আগে তৈরি হওয়া অনগ্রসর শ্রেণীর শংসাপত্র বৈধ বলে গণ্য হবে।
এই খবরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আজ পাণিহাটির সভায় মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী এই রাজ্যে এসেছিলেন।তিনি বলেছিলেন, মুসলিমরা জিতে গেলে তপশিলিদের সংরক্ষণ তুলে দেবে। তাঁর বক্তব্যের পিছনে পরিকল্পনা ছিল, যা আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ভাগাভাগি তৈরি করছেন তিনি। আজকে সেই কাজ তিনি কোর্টকে দিয়ে করিয়েছেন। আমি কোর্টকে সম্মান করি। কিন্তু যে ব্যক্তি রায় দিয়েছেন যে, ওবিসি সংরক্ষণ থেকে মুসলিমদের বাদ দিতে হবে, আমি তাঁর রায় মানিনা, আমি মানব না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলবে। এর জন্য উচ্চতর কোর্টে যেতে হলে যাবো। এরা আমায় চেনে না, আমি মাথা নত করব না। কেন মুসলিমরা তপশিলিদের চাকরি কাড়তে যাবে? কেন তাদের রিজার্ভেশনে ভাগ বসাবে? তুমি পছন্দ করোনা বলে, তাদের এত খারাপ ভাবার কোনো কারণ নেই। মোদিবাবু জেনে রাখুন আপনি আগুন নিয়ে খেলছেন। আপনাকে করতে দেবো না। আপনি মুসলিমদের নামে দোষ দেবেন না।’
❤ Support Us