Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১৬, ২০২৩

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিলে সই করেননি রাজ্যপাল, রাজভবনের হলফনামা নিলেন না প্রধান বিচারপতি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিলে সই করেননি রাজ্যপাল, রাজভবনের হলফনামা নিলেন না প্রধান বিচারপতি

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিলে কেন সই করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস? তাই রাজভবনের হলফনামা জমা নিল না কলকাতা হাই কোর্ট। এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। পুজোর ছুটির পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ যদিও এর আগে এই বিষয়ে রাজ্যপালের হলফনামা চেয়েছিল। রাজভবনকে জানাতে বলা হয়েছিল, কেন রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বিলে সই করেননি? কিন্তু সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, দুই বিচারপতির ওই নির্দেশ এখনই কার্যকর হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিল সংক্রান্ত মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা চেয়েছিল বিচারপতি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই বিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিপর্বে রাজভবনের হলফনামা চাওয়া হয়েছিল।

দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছিল, এই মামলায় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৬৩ অনুযায়ী রাজভবনকে হলফনামা পেশ করে জবাব দিতে হবে ৪ অক্টোবরের মধ্যে। ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানিয়েছিল দুই বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের অনুপস্থিতিতে সে দিন মামলার শুনানি হয়েছিল দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ফিরে আসায় সোমবার ফের তাঁরই বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।

ওই মামলার শুনানি পর্বে রাজ্য সরকারের তরফে দুই বিচারপতির বেঞ্চকে জানানো হয়, গত বছর ৭ জুন পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের (সংশোধন) বিল ২০২২ রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে। ওই বছর ১৫ জুন রাজ্যপালের কাছে ওই বিল পাঠানো হয়। কিন্তু ওই বিলে এখনও পর্যন্ত সই করেননি রাজ্যপাল বোস। রাজ্য বিধানসভার কোনও বিল আইনে পরিণত করতে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০ অনুযায়ী রাজ্যপাল তিনটি পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমত, রাজ্যপাল নিজেই বিলে সম্মতি দেবেন। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রপতির কাছে বিলটি বিবেচনার জন্য পাঠাবেন। তৃতীয়ত, পুনর্বিবেচনার জন্য বিধানসভায় সংশোধনের জন্য বিলটি ফেরত পাঠাতে পারেন। রাজ্যের অভিযোগ, রাজ্যপাল কোনও পথই বেছে নেননি। ফলে বিলটি রাজভবনেই পড়ে রয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!