Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ১, ২০২৩

খেজুরিতে শুভেন্দুকে শর্ত সাপেক্ষ সভার অনুমতি দিল হাইকোর্ট।বিধি পালনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
খেজুরিতে শুভেন্দুকে শর্ত সাপেক্ষ সভার অনুমতি দিল হাইকোর্ট।বিধি পালনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

আবার শুভেন্দু অধিকারীর খেজুরির সভার অনুমতি না দিয়ে আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ফলে ধর্মতলার পর এবার খেজুরির শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও আদালত শুভেন্দুর খেজুরির ২ ডিসেম্বরের সভায় একাধিক শর্ত চাপিয়েছে, তাও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাঁর প্রশ্ন, বারবার বিরোধীদের সভা করার জন্য আদালতে আসতে হচ্ছে কেন? শাসকদল কি সভা করার জন্য একই শর্ত মেনে আবেদন করে?

শুভেন্দুর আগামী ২ ডিসেম্বর খেজুরিতে সভা পূর্ব ঘোষিত। জনসভার জন্য অনেক আগেই পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সভার আয়োজক দল বিজেপি। তার পরেও সভা করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ ছিল, আবেদন করেও পুলিশের তরফে কোনও তথ্যই তাদের দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত সভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। ছিনিয়ে আনেন ২ ডিসেম্বরের খেজুরির সভার অনুমতি।

বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ শুক্রবার শুভেন্দুকে শর্তসাপেক্ষে সভা করার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, শব্দবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে হবে। কোনওরকম উস্কানিমূলক বক্তব্য সভায় রাখা যাবে না। দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সভা চলবে। শুভেন্দুকে সভার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর  প্রশ্ন, বারবার বিরোধী দলকে সভার অনুমতি পেতে আদালতে কেন আসতে হচ্ছে? শাসকদল কি এত আগে থেকে সভার অনুমতি চায়? অর্থাৎ আদালতের প্রশ্ন, যে যে মাপকাঠিতে বিরোধীদের সভা বাতিল করা হচ্ছে, সেগুলি শাসকদল মেনে চলে তো?

আমরা এর আগে দেখেছি,  এর ধর্মতলায় অমিত শাহর সভাও বাতিল করেছিল কলকাতা পুলিশ। তার পর বিজেপি আদালতে গিয়েই সেই সভার অনুমতি নিয়ে আসে। বিজেপির সভা বন্ধ করতে রাজ্য সরকার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েও সভা আটকাতে পারেনি উল্টে সরকারকে আদালত ভর্ৎসনা করে বলে, তাহলে ২১ জুলাই-এর তৃণমূলের সভা বন্ধ করার কথা আদালতে রাজ্যের আইনজীবী ঘোষণা করুক। এবারও  খেজুরিতে শুভেন্দুর সভার ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। এদিকে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, কেন? কারা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সভা বন্ধ করার জন্য আদালতে রাজ্যকে যেতে বলছে? এর ফলে শুভেন্দু অধিকারী অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়ে যাচ্ছেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!