- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
নবম-দশমের চাকরি বাতিল নিয়ে এসএসসি-র রিপোর্টে হাই কোর্টের অসন্তোষ, ফের রিপোর্ট তলব
সব তথ্য আদালতের সামনে আনতে কি স্কুল সার্ভিস কমিশন লজ্জা পাচ্ছে? আপনারা কিছু লুকোতে চাইছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট পেয়ে এই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। নবম-দশম শ্রেণির চাকরি বাতিল নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া তৃতীয় রিপোর্টেও শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হল না কলকাতা হাই কোর্ট। ফের ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবারের রিপোর্ট দেখে বিচারপতিদের বক্তব্য, এতে অনেক অসামঞ্জস্য রয়েছে। চাকরি বাতিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাই তাদের আরেকবার সুযোগ দেওয়া হল। বুধবারের মধ্যে ফের রিপোর্ট দিতে হবে হাই কোর্টে।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ বেঞ্চে এখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা রয়েছে। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রসিদির বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেন এসএসসি-র প্রতিনিধিরা। কিন্তু তা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কীসের ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে, তা এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। এদিনের রিপোর্টেও সেই বিষয়টি স্পষ্ট নেই বলে বিচারপতিরা জানান। আর সেই কারণেই ফের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল এসএসসি-কে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি চলছে হাই কোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলায় বহু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয় আদালতের নির্দেশে। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল। কিন্তু সেই বাতিলের উপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে গেলেও কীসের ভিত্তিতে এসএসসি চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এসএসসি-র কাছে জানতে চান, নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছিল? এর আগে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, সেই হলফনামায় তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। কিন্তু সোমবার এসএসসি-র নতুন রিপোর্টেও সন্তুষ্ট হল না হাই কোর্ট।
❤ Support Us