- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৭, ২০২৪
‘পিয়ালির গ্রেফতারি বেআইনি’, মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

অবশেষে মুক্তি পেলেন সন্দেশখালির গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস । সম্পূর্ণ জামিনযোগ্য ধারায় কীভাবে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে সেই নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পুলিশ এবং নিম্ন আদালতের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে পিয়ালিকে আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে শুক্রবার পর্যন্ত নিম্ন আদালতে নতুন করে কোনও মামলা দায়ের করতে পারবে না পুলিশ।
পিয়ালির বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫ সহ সমস্ত জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। তাঁকে সাক্ষী হিসেবে থানায় তলব করার পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৯৫এ ধারায় পিয়ালির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় পুলিশ। পিয়ালি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন করেন। তারপরেও তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয় বসিরহাট আদালত। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের যান পিয়ালি দাস।
তাঁর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদারের বক্তব্য ছিল, এটি সম্পূর্ণ জামিনযোগ্য মামলা । কিন্তু আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে উল্টে ১২ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয় ওই বিজেপি নেত্রীকে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও অমান্য করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। জেলা পুলিশ সুপার, ওসি, তদন্তকারী অফিসার এমনকি নিম্ন আদালতের বিচারকেও উচ্চ আদালতে তলব করা উচিত বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাড়িতে যখন নোটিস লাগানো হয়েছিল তখন জামিন অযোগ্য ধারার উল্লেখ ছিল না। কিন্তু তিনি যখন আত্মসমর্পণ করলেন সেই সময়ে জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি সেনগুপ্ত রাজ্যের তরফের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, জামিন যোগ্য ধারার মধ্যে কী করে জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়? পুলিশ ছেড়ে দিন, ম্যাজিস্ট্রেট কী করছিলেন?
সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের ভিডিও ভাইরাল হতে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে যায় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। সেই ভিডিওতে ওই অঞ্চলের একজন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল দাবি করেন, সন্দেশখালির ‘ধর্ষণ’-এর ঘটনা সম্পূর্ণ ‘সাজানো’, এর পিছনে ইন্ধন আছে রাজ্য বিজেপির। সেখানে নাম উঠে আসে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পির। অবস্থা জটিল বুঝে তড়িঘড়ি আত্মসমর্পণ করেন তিনি। মঙ্গলবার আগাম জামিনের আবেদন করলে উল্টে তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত।
❤ Support Us