- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২০, ২০২৩
কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও কিছু এসে যায় না, বান্ডিল করে হারাব বিরোধীদের। দাবি কুণাল, সৌগতর

সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্দেশ শীর্ষ আদালত দেওয়ার পর বিরেধীদের মুখে চওড়া হাসি না ফুটলেও অনেকটাই স্বস্তি যে তারা পেয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। শীর্ষ আদালতের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেছেন, আমরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নই। ভোট করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়।
শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন? যদি রাষ্ট্র সংঘ থেকে বাহিনী আসে,কেন্দ্র মিলিটারি নামায় তাতেও আমাদের কিচ্ছু এসে যায় না। বান্ডিল করে বিরোধীদের হারাব। কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশ, যাই থাক বিরোধীদের বান্ডিল করে হারাব। তবে শীর্ষ আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, ত্রিপুরার জন্য এক রকম ব্যবস্থা আর বাংলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা? আমরা চাই আসুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের পর দেখা যাবে এমন ভাবে হারাব যে কোনও কথা বলতে পারবে না। কিন্তু একটা টেকনিক্যাল সমস্যা। ভারতে বা রাজ্যে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন হয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। আর স্থানীয় নির্বাচন অর্থাৎ পঞ্চায়েত, পুরসভার নির্বাচন হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন আর রাজ্য পুলিশ দিয়ে। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য তাদের অবস্থান বোঝাতে তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। আমরা চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, হারার পর আর একটা কথা বলতে পারবে না নওটঙ্কি বেরিয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নাম জপ করুণ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুকে চেপে ঘুরুন। আমরা মানুষকে বুকে নিয়ে ঘুরি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী সহ অন্যান্য প্রকল্পকে সামনে রেখে আমরা মানুষের কাছে যাব। বাংলায় কমবেশি ৬১ হাজার বুথের মধ্যে ৫ থেকে ৬টি বুথে গন্ডগোল হয়েছে। বিরোধী বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফ ইচ্ছে করে গন্ডগোল করেছে। এটা ওরা করেছে কারণ, ওদের কিছু দৃশ্য দরকার ছিল। এই দৃশ্যগুলিকে ওরা আদালতে ব্যবহার করতে চাইবে। তবে এসব নিয়ে এখন আমরা কিছু বলব না। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নওশাদ সিদ্দকী কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে হেয়াটসঅ্যাপে যে সমস্ত চ্যাট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিচ্ছে, যাতে অফিসার বদল হয়। আসলে এই নেক্সাসটা অনেক গভীরে। তাই যারা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নাচছে তাদের মনে করিয়ে দিই, ২০২১ সালে ৮ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে হয়েছে। তাতেও সিপিএম,কংগ্রেস শূণ্য, তৃণমূল বিপুল ভোটে জিতেছে। আমরা বুক ঠুকে বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, মিলিটারি আসুক আমরা মানুষের ভোটে জিতবই।”
এদিকে সৌগত রায় বলেছেন, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশের পর “পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আমাদের একটা বৈঠক হয়েছে। তাতে আমরা বলছি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে কি ভাবে ভোট করতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও আমাদের কিছু এসে যায় না। ২০২১ সালেও বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে ৮ দফায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পরেও তৃণমূল বিপুল ভোটে জিতেছে।”
❤ Support Us