- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
চাকরি চুরির তদন্তে নয়া মোড়।নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর জালে ‘সৎ রঞ্জন’

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছিল। প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় নিজের হেফাজতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
শুক্রবার নিজাম প্যলেসে দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চন্দন মণ্ডলকে ডেকে পাঠান সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের প্রশ্নে অসঙ্গতিপূর্ণ উত্তর দেন তিনি। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারপতি তাঁকে চারদিনের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বছর কয়েক আগে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের ইউটিউব ভিডিওর সূত্র ধরে উঠে আসে ‘সৎ রঞ্জন’ অর্থাৎ চন্দন মণ্ডলের নাম। তিনি দাবি করেন, টাকা নিয়ে বহু লোকের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগণার বাগদার জনৈক রঞ্জন। গোপনীয়তার স্বার্থে প্রথমে তিনি তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনেননি। পরে দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালে স্বীকার করেন তাঁর আসল নাম। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুর করে সিবিআই। বলা হয়, প্রয়োজনে তাঁকে নিজের হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর সিবিআই চন্দনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু বহুদিন তিনি নিঁখোজ ছিলেন। সিবিআই আধিকারিকরা বার বার তাঁকে খুঁজতে তাঁর বাড়িতে হানা দেন। কিন্তু তাঁর সন্ধান পাননি। অবশেষে গত বছর জুলাই মাসে তাঁর সন্ধান পান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তাঁর মামলা শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দনের বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীদের আনাগোনা লেগেই থাকত। তাদের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন বিধায়ক উপেন বিশ্বাস তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন বহু চাকরিপ্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বাগদার রঞ্জন। আবার, চাকরির ব্যবস্থা না করতে পারলে তাদের সুদসহ টাকা ফেরত দিতেন রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। এ কারণে তাঁকে সৎ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন সিবিআই কর্তা আরো জানান, কোটি কোটি টাকা অভিজাত গাড়িতে করে কলকাতায় পাচার করা হত।কীভাবে, কোন কোন প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে যেত, সে ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধৃত চন্দনের কাছে থাকতে পারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
❤ Support Us