- ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- আগস্ট ৫, ২০২৪
ডায়মন্ডহারবার কফি হাউসের বর্ষপূর্তি

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কফি হাউসের কথা সকলেই জানে। আর সেই কফি হাউস দিনের পর দিন তাদের শাখা প্রশাখা বাড়িয়ে চলেছে। এ যেন এক ঐতিহ্যের পরম্পরা।কলেজস্ট্রিট, যাদবপুর এবং শ্রীরাপুরের পর স্মৃতিমাখা কফিহাউস ডায়মন্ড হারবারে ২০২৩ এর চার আগস্ট উদ্বোধন হয়েছিল। দেখতে দেখতে এক বছর অতিক্রম করে সকলের কাছে প্রিয় জায়গা হিসাবে স্থান পেয়েছে ইতিমধ্যেই। নানা ধরনের কফির পাশাপাশি চিকেন স্যান্ডুইজ, কবিরাজি, চিকেন ওমলেট, ফিস ফ্রাই সব রকমই নস্টালজিক খাবার এই ডায়ামন্ড হারবারের কফি হাউসে পাওয়া যায়। এছাড়া সেই খাবার ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারেন আপনিও।
রবিবার কফি হাউসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মন্ডল, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্রীমতী সুদেষ্ণা রায়, অধ্যাপিকা অনন্যা চক্রবর্তী, কবি প্রসূন ভৌমিক এবং মহকুমা শাসক ডায়মন্ড হারবার অঞ্জন ঘোষ, কবি সৌমিত বসু সহ আরো অনেকেই। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল কবি শ্রী প্রসূন ভৌমিকের কবিতা ও গায়িকা রিশিকা ভৌমিকের গানের যুগলবন্দী যা দেখে মুগ্ধ ছিলেন সকলেই। অতিথিদের ব্যস্ততা চুঁইয়ে সাধারণ মানুষের উজ্জ্বল উপস্থিতি বন্দর শহরকে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়।
কলেজ স্ট্রিট বই পাড়ার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কফি হাউস এক প্রাচীন ইতিহাস। কলকাতার সাবেকী অ্যালবার্ট হল থেকে রূপান্তরিত হয় ঐতিহাসিক অধুনা কফি হাউসের।
সেই সময়ের অ্যালবার্ট হল হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের গর্ভগৃহ। রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্মস্থান, ঐতিহ্যবাহী কফি হাউসের প্রত্যেক টেবিল অনেক বিপ্লবের নীরব সাক্ষী, তা নকশাল আন্দোলন হোক বা নতুন লেখক এবং লিটল ম্যাগাজিন তৈরি করা হোক অথবা কোনও সাংস্কৃতিক বা সাহিত্যিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক উত্থান- সবই আছে। রাতারাতি কলকাতার বুদ্ধিজীবী থেকে কবি সাহিত্যিক, শিল্পী এবং কলেজ-পড়ুয়াদের মৌতাত জমে উঠেছিল ইনফিউশনের কাপে।
সঙ্গী থাকত কবিরাজি, চিকেন-অমলেট থেকে মোগলাই। রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র থেকে সত্যজিৎ ঋত্বিক মৃণাল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায় সহ অমর্ত্য সেন সবার পদধূলিধন্য এই কফিহাউস।
শুরুতে কফি হাউসের অভিভাবক ইণ্ডিয়ান কফি বোর্ড থাকলেও পরে ১৯৫৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হস্তক্ষেপে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের সহায়তায় কফি হাউস পরিচালনার ভার নেয় কর্মচারী সমবায়। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে।সেই থেকে আজ অবধি একই ভাবে হাল ধ’রে রেখেছেন তাঁরাই। কফি হাউস কোঅপারেটিভ, কর্মী ও কর্মচারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।
❤ Support Us