- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ২৯, ২০২৪
তেল উত্তোলনে রাজ্যকে চিঠি দিয়েও মেলেনি উত্তর, সংসদে বললেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ছাড়াও বেশ কয়েকটা জায়গায় আগেই তেলের সন্ধান মিলেছে। রাজ্যের অনুমতি না পাওয়ায় তেল উত্তোলনের জন্য খনন কাজ শুরু করা যায়নি। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তেলের খনি থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাই রাজ্যের ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে খননের জন্যে অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী সংসদে এমনটাই জানিয়েছেন।
হরদীপ সিং পুরী সংসদে বলেছেন, অশোকনগর ছাড়াও বেশ কয়েকটা জায়গায় তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। খননের জন্য ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে লিজ চেয়েছিল ওএনজিসি। রাজ্য সরকার নাকি এখনও সেই অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তেল উত্তোলন শুরু করা যায়নি। পেট্রোলিয়াম দেশের সম্পত্তি হিসেবেই বিবেচিত। যে রাজ্যে তেলের সন্ধান পাওয়া যাবে, সেই রাজ্যের কাছ থেকে খননের জন্যে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে হয়।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী সংসদে দাবি করেছেন, অশোকনগরের পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে মোট ১৯টি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে ১৪টি চিঠি পাঠিয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব তেল উত্তোলনকারী সংস্থা ওএনজিসি। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৩টি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। বাকি দুটি চিঠি পাঠিয়েছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন। রাজয় সরকার নাকি কোনও চিঠিরই জবাব দেয়নি।
২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেলের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রায় ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওই তেল রয়েছে বলে জানায় ওএনজিসি। এছাড়া রানাঘাট, কাঁকপুল এলাকার আরও প্রায় ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে খনিজ তেল রয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে তেলের খনির পেছনে ইতিমধ্যেই ১০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন যদি আবার তেল উত্তোলন শুরু করা যায়, তাহলে বছরে ৮১২৬ কোটি টাকা আয় হতে পারে রাজ্য সরকারের।
❤ Support Us