- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
মহুয়াকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ।কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে চিঠি পাঠাল সংসদের আবাসন কমিটি
অতি সত্তর দিল্লি বাংলো হাতছাড়া হবে লোকসভা থেকে বহিস্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। সাংসদের বাংলো খালি করার জন্য মহুয়াকে নির্দেশ পাঠাতে বলেছে সংসদের আবাসন কমিটি। এই মর্মে তারা চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও চিঠি কৃষ্ণনগরের বহিস্কৃত সাংসদ পাননি বলে খবর।
টাকার বিনিময়ে সংসদে তিনি প্রশ্ন করেছেন বলে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রই ও দর্শন হিরানন্দানির নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়। অভিযোগে বলা হয়েছে, মহুয়া সংসদে প্রশ্ন করার জন্য দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে মূল্যবান সামগ্রী, অর্থ নিয়েছেন। এর পর লোকসভার এথিক্স কমিটি এই অভিযোগ পায় নিশিকান্ত দুবের কাছ থেকে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও নিশিকান্ত এই একই অভিযোগ জানায়। এথিক্স কমিটি এর পর তদন্ত করে মহুয়ার মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার লোকসভায় এই বিষয়টি ওঠে এবং লোকসভায় ধ্বনিভোটে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।
স্পিকারের এই সিদ্ধান্তকে ইন্ডিয়া জোটের সব নেতারা একতরফাভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে প্রতিবাদ জানায়। মহুয়া মৈত্র নিজে বহিস্কৃত হওয়ার পর সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি দর্শন এবং জয় অনন্তকে তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন করার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করলেও তা গৃহীত হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ তিনি সংসদে আদানীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে মামলা করেছেন মহুয়া।
তবে কেউ সাংসদ থাকাকালীন থাকার জন্য যে বাড়ি পান সেটা সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার পর ফাঁকা করে ফিতে হয়। রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরও তিনি সেটাই করেছিলেন, পরে আবার সাংসদ পদ ফায়ার পাওয়ার পর তিনি তাঁর পুরোনো বাড়িতে ফিরে আসেন। তাই সাংসদ পদ খারিজের পর মহুয়ার যে সাম্য হিসেবে পাওয়া বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে সেটাই স্বাভাবিক।
❤ Support Us