- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২০, ২০২৪
অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়া হবে: অমিত শাহ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার বলেছেন যে অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত বেড়া দেওয়া হবে যেমন বাংলাদেশের সীমান্তে ব্যারিকেড করা আছে।
পাঁচটি নবগঠিত অসম পুলিশ কমান্ডো ব্যাটালিয়নের প্রথম ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেডে ভাষণ দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “ভারত-মায়ানমার সীমান্তকে বাংলাদেশের সীমান্তের মতো সুরক্ষিত করা হবে… ভারত সরকার মিয়ানমারের সাথে অবাধ চলাচল বন্ধ করবে।”
গত ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের শুরুতে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং “অবৈধ অভিবাসন” রোধ করতে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম বা এফএমআর বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ভারত মায়ানমারের সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ করছে।
ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তবর্তূ এলাকা ১,৬৪৩ কিলোমিটার, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশ জুড়ে এই সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে মণিপুরে মাত্র ১০ কিলোমিটার বেড়া দেওয়া আছে। ১৯৭০-এর দশকে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম চালু হয়েছিল, কারণ ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে পারিবারিক ও জাতিগত সম্পর্ক রয়েছে।
আগের দিন, শাহ ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে খণ্ডন করে তেজপুরে অল বাথৌ মহাসভার ১৩ তম সম্মেলনে বলেন, “বোড়ো আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। তাদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য, বোড়োদের ব্যাপক সংগ্রাম ছিল। কংগ্রেসের মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ক্ষমতায় নিমজ্জিত থাকার নীতির কারণে এই আন্দোলনে হাজার হাজার যুবক প্রাণ হারিয়েছে। কেউ ভাইকে হারিয়েছে, কেউ তাদের পিতাকে হারিয়েছে, কেউ তাদের স্ত্রীকে হারিয়েছে।”
উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতির প্রশংসা করে অমিত শাহ বলেন, গত ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে দেশের আইন-শৃঙ্খলায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং উত্তর-পূর্বে শান্তি ও উন্নয়ন লক্ষ্য সাফল্য পেয়েছে।
গত তিন বছরে বোডোল্যান্ডে কোনও সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি এবং এটি উন্নয়নের পথে হাঁটার মাধ্যমে একটি নতুন দিশা স্থির করছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন।
আগের দিন অমিত শাহ তেজপুরে শস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি-র ৬০ তম উত্থাপন দিবস এবং দেইখিয়াজুলিতে অল বাথৌ মহাসভার ১৩ তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘Assam’s Braveheart Lachit Barfukan’ শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করেন এবং গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে রিভারফ্রন্ট সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
❤ Support Us