- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- আগস্ট ২৬, ২০২৪
রেলওয়ে এফসি–কে ৮–১ গোলে উড়িয়ে সুপার সিক্সের আশা বাঁচিয়ে রাখল মোহনবাগান

কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে শেষ তিন ম্যাচ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে মরণবাঁচন ম্যাচ। সুপার সিক্সে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে বাকি তিনটি ম্যাচ জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না। কোণঠাসা অবস্থায় রেলওয়ে এফসি–র বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল সবুজ–মেরুণ ব্রিগেড। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত জয় তুলে নিল। রেলকে ৮–১ ব্যবধানের উড়িয়ে সুপার সিক্সের আশা বাঁচিয়ে রাখল মোহনবাগান।
ম্যাচের ৭ মিনিটেই মোহনবাগান রক্ষণের ভুলে এগিয়ে যায় রেলওয়ে এফসি। থ্রো–ইন থেকে রাজ বাসফোর বল দেন মোহনবাগান গোলকিপার রাজা বর্মনকে। তিনি সামনে দাঁড়ানো সুমিত রাঠিকে পাস বাড়ান। রেলের এক ফুটবলারকে ছুটে আসতে দেখে তড়িঘড়ি শট নেন সুমিত। রেলের ফুটবলারের গায়ে মেরে বসেন। বল চলে যায় রাহুল হালদারের কাছে। ঠান্ডা মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রাহুল হালদার।
শুরুতে পিছিয়ে পড়াটা যেন দম্ভে ঘা দিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান ফুটবলারদের। তেঁড়েফুড়ে আক্রমণ শানাতে থাকেন সালাউদ্দিন, সেরটোরা। ২১ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। ডানদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার করেছিলেন রাজ বাসফোর। হেডে গোল করে সমতা ফেরান সেরটো। ২ মিনিট পরেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সেই রাজ বাসফোরের সেন্টারে হেডে গোল করেন আদিল আবদুল্লার।
এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রেলের ডিফেন্স। একের পর এক গোল হজম করতে থাকে। ৩০ মিনিটে রবি বাহাদুর রাণার শট জগাইয়ের পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। মিনিট চারেক পর পেনাল্টি থেকে গোল করে ৪–১ করেন সেরটো। ৩৮ মিনিটে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে মোহনবাগানের হয়ে পঞ্চম গোল করেন সালাউদ্দিন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সালাউদ্দিনের কাছ থেকেই আসে মোহনবাগানের ষষ্ঠ গোল। প্রথমার্ধে ৬–১ ব্যবধানে এগিয়েছিল মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে চাপ রাখলেও খুব বেশি গোলমুখ খুলতে পারেননি মোহনবাগান ফুটবলাররা। আসলে গোল করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন সালাউদ্দিনরা। ৭৫ মিনিটে রাজ বাসফোরের সেন্টারে হেডে ৭–১ করেন উত্তম হাঁসদা। ৮৮ মিনিটে তপন হালদারের গোলে ৮–১। চলতি কলকাতা লিগে এটাই সবথেকে বড় ব্যবধানে জয়। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এল মোহনবাগান। শেষ দুটি ম্যাচে জিতলে সুপার সিক্সে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মোহনবাগানেক। তবে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে হারতে হবে ক্যালক্যাটা কাস্টমসকে। ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাস্টমস।
❤ Support Us