- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মে ৯, ২০২৪
পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ৩ মিনিটে ২ গোল! রিয়েলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুললেন হোসেলু

৮১ মিনিটে ভালভার্দের জায়গায় পরিবর্ত হিসেবে হোসেলুকে মাঠে নামান রিয়েল মাদ্রিদ কোচ। কে জানত শেষ পর্যন্ত তিনিই হবেন ম্যাচের নায়ক? ৩ মিনিটে ২ গোল করে দলকে নাটকীয় জয় এনে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুললেন রিয়েল মাদ্রিদের এই স্ট্রাইকার। বায়ার্ন মিউনিখকে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে রিয়েল। প্রথম পর্বের সেমিফাইনাল ২–২ গোলে ড্র হয়েছিল। দুই পর্ব মিলিয়ে রিয়েলের পক্ষে ফল ৪–৩।
ঘরের মাঠে দাপট নিয়েই শুরু করেছিল রিয়েল। বায়ার্ন মিউনিখ রক্ষণে একের পর এক আক্রমন তুলে নিয়ে আসছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রড্রিগোরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করতে পারছিলেন না। ১৩ মিনিটে ভিনিসিয়াসের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল ম্যানুয়েল ন্যুয়েরের হাতে তুলে দেন রড্রিগো। ২৮ মিনিটে প্রথম সুযোগ এসেছিল বায়ার্নের কাছে। হ্যারি কেনের ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪০ মিনিটে রড্রিগোর আরও একটা প্রয়াস আটকে যায় ন্যুয়েরের হাতে। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধেও রিয়েল মাদ্রিদের দাপট অব্যাহত ছিল। ৫৫ মিনিটে আরও একবার দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল রড্রিগোর সামনে। কিন্তু তিনি তিনকাঠিতে বল রাখতে পারেনি। অবশেষে গেলার গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৬৮ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ডেভিয়েসকে উদ্দেশ্য করে লম্বা বল বাড়ান হ্যারি কেন। সেই বল ধরে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে রিয়েল গোলকিপার লুনিনকে পরাস্ত করেন ডেভিয়েস।
আক্রমণে গতি আনতে ৮১ মিনিটে হোসেলুকে মাঠ নামান রিয়েল কোচ কার্লো আনসেলত্তি। তাঁর গোলেই ৮৮ মিনিটে সমতা ফেরায় রিয়েল। ভিনিসিয়াসের শট বায়ার্ন গোলকিপার ন্যুয়েরের হাত থেকে বেরিয়ে এলে ফিরতি বল জালে পাঠান হোসেলু। ইনজুরি সময়ের শুরুতেই নাচোর কাছ থেকে বল পেয়ে রুডিগার হোসেলুকে পাস দেন। গোল করতে ভুল করেননি হোসেলু। কিন্তু সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তোলেন। রেফারি ‘ভার’–এর সাহায্য নিয়ে গোলের সিদ্ধান্ত দেন। এই গোলেই ফাইনালে পৌঁছে যায় রিয়েল। ১ জুন ওয়েম্বলিতে ফাইনালে রিয়েলের সামনে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
❤ Support Us