Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ১৭, ২০২৩

পুতিনের আমন্ত্রণে তিনদিনের রুশ সফরে যাচ্ছেন শি জিনপিং। চিন-রুশ বৈঠকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্রোত বইবে কোনদিনে, শুরু জল্পনা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পুতিনের আমন্ত্রণে তিনদিনের রুশ সফরে যাচ্ছেন শি জিনপিং। চিন-রুশ বৈঠকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্রোত বইবে কোনদিনে, শুরু জল্পনা

সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে জিনপিং,২০১৯।ফাইল চিত্র

আগামী সপ্তাহে তিনদিনের জন্যে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্রেমলিন সূত্রে খবর শি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরের সময়কাল ২০ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া বিনা বলা-কওয়ায় ইউক্রেনে হামলার চালানোর পরে জিনপিংয়ের এটিই প্রথম রাশিয়া সফর। এর আগে ২০১৯ সালে জিনপিং রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। গত বছর বেজিংয়ে শীতকালীন অলিপিক্স উপলক্ষে চিনে এসেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া গত সেপ্টেম্বরেও দু’দেশের প্রেসিডেন্ট উজবেকিস্তানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন।

শি জিনপিংয়ের আসন্ন রাশিয়া সফর সম্পর্কে ক্রেমলিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পুতিনের আমন্ত্রণে রাশিয়ায় ও চিনের মধ্যে সার্বিক কৌশলগত সম্পর্ক এবং সহযোগিতা কীভাবে আরও জোরদার করা যেতে পারে, তা নিয়ে পুতিন ও জিনপিংয়ের কথা হবে। এছাড়া বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক নথিতে সইসাবুদ করার কথা দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শি জিনপিংয়ের আসন্ন রাশিয়া সফর নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে শি জিনপিং গুরুত্বপূর্ণ কিছু আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে এসম্পর্কে বিস্তৃতভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

ক্রেমলিন ও বেজিং দু’পক্ষই মনে করছে, পুতিন ও জিনপিংয়ের বৈঠক দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আগামীদিনে আরও গভীর করে তুলবে। উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পরে চিন ও রাশিয়া পরস্পরের আরও কাছাকাছি এসেছে। দু’দেশের ভিতর বাণিজ্যিক সম্পর্ক তুলনায় মজবুত হয়েছে। রাশিয়ার থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে তেলের ক্রেতা চিনই।

শি জিনপিংয়ের এই সফরকালীন ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন কিনা এব্যাপারে এখনও নীরব ক্রেমলিন। তবে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনে যে সঙ্কট দেখা দিয়েছে, সেই সমস্যার সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা নেবে চিন। সমঝোতার রাস্তা নিয়েও চিন সদর্থক ভূমিকা নেবে।

এদিকে গত মাসেই ওয়াশিংটন অভিযোগ তুলেছিল, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে, রাশিয়ার পক্ষপাতিত্ব করছে চিন, যুদ্ধে পরোক্ষ মদত যোগাচ্ছে। এরপরই বেজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই কথা খারিজ করে দিয়ে জানায়, মার্কিনের বক্তব্য সারবত্তাহীন, কোন প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা অভিযোগ করছে ওয়াশিংটন । উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। বেজিং চাইছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন সত্বর শান্তি আলোচনায় সামিল হোক। এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কিয়েভ ও রাশিয়া দু’তরফকেই আর্জি জানিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!