- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
‘বিদ্রোহী’ লন্ডন পুলিশ, সংঘাতের সম্ভাবনায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী

লন্ডন পুলিশে বিদ্রোহ ! অবাঞ্চিত এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সজাগ থাকতে বলা হয়েছে এসএএস কমান্ডোদের। ব্রিটেনের প্রাণকেন্দ্রে এই ধরণের ঘটনায় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট অশনি অশনি সংকেতের বার্তা পাচ্ছে।
কেন হঠাৎ এই বিদ্রোহ পুলিশের মধ্যে? কী তার কারণ? কেনই বা আচমকা বিদ্রোহী হয়ে উঠল লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ? জানা গিয়েছে, এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার পরেই এই সমস্যার সূত্রপাত হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ক্রিস কাবা নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। সাইথ লন্ডনের স্ট্রেথাম হিল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। ক্রিস গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে এক পুলিশ অফিসার গুলি করে হত্যা করেন। তখন ক্রিস কাবার কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না। অভিযোগ, বর্ণবিদ্বেষের কারণে ওই কৃষ্ণাঙ্গকে ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান পুলিশকে সমর্থন জানিয়ে সেই সময় বলেছিলেন, ‘‘পুলিশকে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’
বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে যখন প্রথমে কয়েক জন পুলিশ অফিসার সশস্ত্র অবস্থায় কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করেন। তার পরে এই সংখ্যা এখন সমানে বাড়ছে। সহকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ মেট্রোপলিটন পুলিশ ফোর্স। তার পরই পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীকে। তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএএস কমান্ডোদেরও। ব্রিটেনের প্রাণকেন্দ্রে এই ঘটনায় প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
ব্রিটেনের সব পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকে না। যাঁদের কাছে হাতিয়ার থাকে, তাঁরা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে , ১০০ জনের মতো পুলিশ অফিসার কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন। ব্রিটেনের অন্য অংশের পুলিশ আধিকারিকরাও লন্ডনে আসতে চাইছেনা না।স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাতটি ‘কাউন্টার টেররিজম ফায়ার আর্মস ইউনিট’ বা সন্ত্রাসবিরোধী সশস্ত্র দলের মধ্যে মাত্র একটি সক্রিয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিকে জটিল বলেই মনে করছে প্রশাসন।
❤ Support Us