- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- আগস্ট ২৯, ২০২৩
ভারতীয়দের থেকে তিনটি মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল অনুচ্ছেদ ৩৫এ : ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ এবং ৩৫এ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতায় করা আবেদনগুলির পরিপ্রেক্ষিতে এখন শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাতেই এবার গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দি ওয়াই চন্দ্রচূড় বললেন, ভারতীয়দের থেকে তিনটি মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল অনুচ্ছেদ ৩৫এ।
অনুচ্ছেদ ৩৫এ-র অধীনে ২০১৯ সালের আগে পর্যন্ত বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকতেন জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্থায়ী’ বাসিন্দারা। তবে এই ৩৫এ ধারা ভারতীয়দের থেকে তাঁদের মৌলিক তিনটি অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল বলে পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতির নির্দেশেই দেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ৩৫এ ধারা। এর ফলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ‘ব্যাতিক্রম’ এসেছিল বলে মত প্রধান প্রকাশ করেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, ৩৫এ ধারার জেরে ভারতীয় নাগরিকরা তিনটি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে। চন্দ্রচূড়ের মতে, ১৬ (১) ধারার অধীনে দেশের সব নাগরিককে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সমান অধিকার দেওয়া হয়, তবে ৩৫এ ধারায় সেই অধিকার খর্ব হচ্ছিল। তাছাড়া ১৯ (১) (এফ) ধারায় দেশের সব নাগরিককে যেকোনও জায়গায় সম্পত্তি কেনার অধিকার দেওয়া হয়, তাও খর্ব হচ্ছিল ৩৫এ ধারায় এবং ১৯ (১) (ই) ধারায় দেশের নাগরিকদের যে কোনও জায়গায় বসাবসের অধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে ৩৫এ ধারায় তাও খর্ব হয়।
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ আরও বলে, অনুচ্ছেদ ৩৫এ-র জেরে জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও আইন পর্যালোচনার ক্ষমতা ছিল না আদালতের হাতে। এদিকে আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে সওয়াল করা আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু মনে করেছিলেন, অন্য জায়গা থেকে লোক গিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে সম্পত্তি কিনলে সেখানকার ভারসাম্য নষ্ট হত। এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “তৎকালীন সরকারের ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছে বর্তমান সরকার।”
❤ Support Us