- দে । শ
- ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
বাধ সেধেছে শীত, আকাল রসের জোগানে

পৌষের প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে গেল, শীতের জন্য হা–পিত্যেশ করে দিন গুণছেন রসের কারবারিরা। পৌষ মাসে এখনও শীতের তেমন ‘আঁচ’ নেই। অথচ এই সময়টার জন্য সারা বছর অপেক্ষায় কাটান বসিরহাটের শিউলিরা। খেজুর গাছ কাটা হয়েছে কবে। কিন্তু রসের দেখা মিলছে না। মিলবেই বা কী করে। ভালো জিরেন রস পেতে হলে তো বাতাসে শীতের কাঁপন চাই, পরিস্কার নীল আকাশ চাই, ঝলমলে রোদ চাই। কিন্তু কোথাও সেই কনকনে ঠান্ডা। ফলে এবারে রসের জোগান একেবারে তলানীতে। তৈরি হচ্ছে না নলেন গুড়।
বসিরহাটের গাছা, পানিতর, ইটিন্ডা, ধলতিথা, নলকোঁড়া, দন্ডীরহাট, বাঁশঝাড়ি, কামারডাঙা, স্বরূপনগর হাসনাবাদের টাকি, রোজিপুর, রামেশ্বরপুর, মাখালগাছা, মুরারীশাহ সহ যে সব গ্রাম খেজুর রসের আখড়া সেখানে শিউলিরা গাছে ভাঁড় পাতছেন আর ব্যাজার মুখে ফিরে আসছেন। এই সময় কী আর ছিটেফোটা রসে মন ভরে ? গাছা গ্রামের শিউলি মোক্তার আলি বলেন, ‘এখন যেন বসন্তের আমেজ। এতে কি আর খেজুর গাছ রস দেয়। চাই কড়া শীত, রোদ আর পরিস্কার আবহাওয়া। তা না হলে খেজুর গাছ রস দেয়না। ভালো রস না পেলে নলেন গুড়ও যুতের হয় না।’ মোক্তার বলেন, বছরের এই সময়টার আমাদের কাছে অনেক আশা নিয়ে আসে। খেজুর রস ভালো হলে দু’টো পয়সার মুখ দেখি। এমনিতে এখন আর শিউলির পেশায় কেউ আর আসছে না। খেজুর গাছের সংখ্যাও কমে আসছে দিন দিন। তার ওপর ইটভাটা, তেলকলের ধোঁয়ার সঙ্গে ছাই দূষণ ছড়াচ্ছে। তার ওপর যদি জাঁকানো শীত মুখ ঘুরিয়ে আছে, সব মিলিয়ে খেজুর রসের জোগানে টান তো পড়বেই।
❤ Support Us