- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ৪, ২০২৩
“বন্যা পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে পুরো কাজে থাকছি”! জরুরি বৈঠকের পর সমস্ত ছুটি বাতিল করে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

একদিকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমে লোনক হ্রদ ছাপিয়ে সেই জল তিস্তাকে প্লাবিত করেছে। এরই মধ্যে রাজ্যেও নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে শুরু করেছে। বাঁধ বাচাতে জল ছেড়েছে ডিভিসি। আগামী কয়েকদিনে আরও জল ছাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানানো হয়েছে ডিভিসির তরফে। ফলে রাজ্যের সাত-আটটি জেলাতেও প্লাবনের আশঙ্কা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরেই নবান্নের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তবে পায়ের চোটের কারণে তিনি বৈঠক করেন কালীঘাটের বাড়ি থেকেই। ফোনের স্পিকারে তাঁকে রেখে নবান্নের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ নবান্নের অন্যান্য দফতরের সচিবেরা। সেখানেই মমতা প্রয়োজনীয় সমস্ত নির্দেশ দেন তাঁর সচিবদের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি পায়ের চোটের জন্য বেরোতে পারছি না। তবে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়োগ করেছি। তাঁরা বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। মেদিনীপুর, সবং এবং ঘাটালের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’টি কন্ট্রোল রুম খোলারও নির্দেশ দিয়েছি।’’
এর পরেই মুখ্য সচিব দ্বিবেদীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তোমরা কন্ট্রোল রুমের নম্বর দ্রুত জানিয়ে দাও। যাতে অসুবিধায় পড়লে মানুষ সমস্যার কথা জানাতে পারেন। আর একটা নম্বর আমার কাছেও দিও। আমি বাড়ি ২৪X৭ জরুরি পরিস্থিতির সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজ চালাবো। আপাতত সবার ছুটি বাতিল। কারণ পুজোর মুখে এমন একটা বিপর্যয় আগে সামলানো দরকার।’’
তবে মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মমতা ওই বৈঠকে রাজ্যবাসীর প্রতিও কিছু জরুরি বার্তা এবং পরামর্শ দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘যাঁরা নীচু এলাকায় বসবাস করেন, তাঁদের বলব, আপনারা দয়া করে বাড়ি থেকে সরকারি শিবিরের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসুন।’’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সাত-আটটি জেলায় জরুরি পরিস্থিত তৈরি হতে পারে। কারণ ডিভিসিকে আবার জল ছাড়তে হবে। কিন্তু যে সমস্ত এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছেও গিয়েছে।’’
❤ Support Us