Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ৬, ২০২৩

নিজের কেন্দ্রের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে রেশন দুর্নীতি নিয়ে বামেদের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা উত্তর দিলেন সুজন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নিজের কেন্দ্রের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে রেশন দুর্নীতি নিয়ে বামেদের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা উত্তর দিলেন সুজন

তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ভবানীপুরের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ফের সিপিএমকে দায়ী করলেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমি সাত বার সাংসদ হইয়াছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আমি সাংসদের পেনশন বা মুখ্যমন্ত্রীর মেইন নিই না। এসব সব সুবিধা আমি পেতে  ।আমাদের বলা হচ্ছে চোর? আর  চোরেরা মুখে গোবর মেখে বসে আছে। পুলিশের মুখে আটা ছুড়ে মারছে। বামফ্রন্ট আমলের ১ কোটি রেশন কার্ড আমরা ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে ধরেছি। এই ১ কোটি  রেশন কার্ডের রেশন বাম আমলে  ওরা নিয়ে নিতে। এই ১ কোটি রেশন কার্ডের নামে ভোট হতো। আমাদের এই কার্ড বাতিল করতে ৭/৮ বছর সময় লেগেছে।” মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের  আবারও  রেশন দুর্নীতির শুরু বাম আমলে।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগের উত্তরে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে আমাদের দলের সব সর্বস্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন, মামলা করেছেন, কী করতে পেরেছেন তিনি? আমি বলছি তিনি মুখে এসব না বলে কাজে করে দেখান। আসলে কেন্দ্রের চেইপ আড়াই কোটি রেশন কার্ড রাজ্যে বাতিল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি ১০ কোটি রাজ্যবাসীকে রেশন দেন। আসলে ৭ কোটি মানুষ রেশন নেন। বাকি রেশনের জিনিস ওরা বিক্রি করে। তাই বালু, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, বাকিবুর-এর নামে এতো কোম্পানি।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীকেও নাম না করে কটাক্ষ করেন। বলেন, “আমার কাছে অনেক তথ্য আছে। আমি দেশকে ভালোবাসি। তাই দেশের করোও নাম বলতে চাই না। এসব শুনলে বাইরের লোকেরা বিষয়টিকে ভালো নজরে নেবে না। দেশের বদনাম হবে। মুখ্যমন্ত্রী কী এ ভাবে নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা এড়িয়ে গেলেন? সেই প্রশ্নও উঠছে।

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাংলার সংস্কৃতি, দুর্গাপূজা নিয়ে কথা বলেন। আগামী বছর দুর্গাপূজায় সরকারের তরফ থেকে যে পুরস্কার দেওয়া হয় তাতে বিদেশে যে বাঙালিরা দুর্গাপূজা করেন তাদেরও যুক্ত করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পূজা কার্নিভ্যালে জেলার আরও বেশি করে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসদের নাম করে বলেন, “জেলা তো এবার পুজোয় সব কিছু করে দিয়েছে, সামনের বছর তোমরা কী করবে?”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!