- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ২৩, ২০২৩
রাজ্যসভায় অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ২০২৪-এ বিজেপিকে পরাজিত করার সেমিফাইনাল শুরু হোক: মমতা, কেজরিওয়াল

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত সিং মান সরাসরি বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “৮ বছর সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করে দিল্লির সরকার যে অধিকার পেল সেই অধিকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাদেশ এনে আটকে দিতে চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজ্যসভায় এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সব বিজেপি বিরোধী সাংসদ ভোট দিয়ে বিজেপিকে পরাজিত করবে। আর এটাই হবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বনাচনে বিজেপিকে পরাজিত করার সেমি ফাইনাল।” মমতা বললেন, “দেশকে বাঁচাতে আমি চাই সব বিজেপি বিরোধীরা এক হয়ে বিজেপিকে পরাজিত করুক। আমি ঠিক করেছি, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বো। আমি কিছু চাই না, যা পারে ওরা করে নিক। এদের এখন আটকাতে না পারলে ওরা এবার দেশের নাম, সংবিধান বদলে দেবে।”
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়ে দিল্লি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানান। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, “৮ বছর সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করে দিল্লি সরকারের পক্ষে যখন সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলো সেই রায়ের ৮দিনের মধ্যে রাজ্যের ক্ষমতাকে খর্ব করার জন্য অধ্যাদেশ আনল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিজেপি চাইছে যেখানে ওদের সরকার নেই সেখানে টাকার জোড়ে সরকার কিনে ফেলে দিয়ে নিজেদের সরকার গড়তে। সেটা না পারলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে সেই রাজ্যের নেতামন্ত্রীদের হেনস্থা করতে, আর সেটা না হলে রাজ্যপালকে দিয়ে রাজ্যের কাজে বিঘ্ন ঘটাতে। পশ্চিমবঙ্গে এটা হচ্ছে, পাঞ্জাবে হচ্ছে। আসলে বিজেপির খুব অহঙ্কার হয়েছে। সেই অহঙ্কারের জোরে ওরা দেশের গণতন্ত্রকে তামাসায় পরিণত করেছে।”
এদিন মনীশ সিসোদিয়ার সঙ্গে দিল্লি পুলিশের অভব্য ব্যবহারের প্রসঙ্গ অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ায় ছিলেন সেদিন। ওর বাড়িতে সিবিআই নোটিশ দিতে এসে বলে গেল, শনিবার হাজিরায় না গেলে বুঝিয়ে দেবে। এসব কি? কি মনে করেছে ওরা? দেশের শ্রমিক, কৃষক সবাই ওদের ওপর অসন্তুষ্ট। সবাই এক হয়ে বিজেপিকে রুখার এটাই সামনে।”
❤ Support Us