Advertisement
  • এই মুহূর্তে ন | গ | র | কা | হ | ন
  • সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩

রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর, বললেন ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন রাজ্যপাল, আমরা এই চক্রান্ত মানব না, উনি কী ভাবছেন? মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও বড়? আমি টাকা বন্ধ করে দেব”

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর, বললেন  ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন রাজ্যপাল, আমরা এই চক্রান্ত মানব না, উনি কী ভাবছেন? মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও বড়? আমি টাকা বন্ধ করে দেব”

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন রাজ্যপাল। আমরা এই চক্রান্ত মানব না। উনি কী ভাবছেন? মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও বড়? সে উনি বড় হতেই পারেন। টিট-ফর-ট্যাট। নো কম্প্রোমাইস, দেখি আপনি কী করে মেইন দেন।’’

এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে অর্থনৈতিক অবরোধ আনা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি বলে দিচ্ছি, এই যদি চলতে থাকে তা হলে অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। দেখি কে চালায়।’’ সেই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন যে, রাজ্যপাল পদাধিকার বলে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেও অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। সেটা জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানান, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় যদি রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চলে তা হলে আর্থিক বাধা তৈরি করা হবে। মমতা বলেন, ‘‘কোনও বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ মেনে চললে আর্থিক বাধা তৈরি করব। বেতন কে দেয়?’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে আমি তা মেনে নেব না। আমি প্রয়োজনে রাজভবনের জন্মে ধর্ণায় বসব। তিনি নিজের বন্ধুকে এনে উপাচার্য করে দেবেন।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাঝ রাতে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে। আমি শিক্ষিত নোই, আপনারা শিক্ষক, আপনারা আমাদের অভিভাবক, কে একজন বাইরে থেকে এসে অভিভাবক সেজে বসলেন। মাননীয় রাজ্যপাল যা করছেন তাতে একটি নির্বাচিত সরকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে। তা হলে সরকার থেকে কী হবে?”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সাম্প্রতিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘মধ্যরাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়ে গেল। কেরলের এক জন আইপিএসকে উপাচার্য করা হয়েছে। রবীন্দ্রভারতীতে একজন বিচারপতিকে উপচার্য করে দিয়েছে। এই চক্রান্ত আমরা মানব না।’’ একই সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘‘কেরল থেকে এনে অধ্যাপক করবেন, ডিন করবেন ঠিক আছে। সব বিল আটকে রাখবেন। আমরা বার বার পাঠিয়ে রেখেছি। আমি পলিটিকাল সায়েন্স পড়েছি, অর্থ বিল ছাড়া কোনও বিল রাজ্যপাল আটকাতে পারে না। একটি বিল একবার পাঠালে তা ফেরত দিলে বা আটকে রাখলে সেই বিল যদি দ্বিতীয়বার পাঠানো জয় তাহলে সেই বিল রাজ্যপাল আটকে রাখলে বিলটি আইনে পরিণত হয়ে যায়। এসব যদি চলতে থাকে তা হলে বাধ্য হলে আমি রাজভবনের সামনে ধর্না দেব।’’

মুহ্যমন্ত্রীর মঙ্গলবারের এই বক্তব্যের পর রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত আরও চরমে পৌঁছে গেল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইচ্ছা মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করছেন বলে সোমবারই অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে বার্তা দিতে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে ‘আর্থিক অবরোধ’ চলবে বলে ঘোষণা করে দিলেন। উপাচার্যের নামোল্লেখ না করেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশ মেনে চললে আর্থিক অবরোধ তৈরি করবে সরকার। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার স্বার্থে তিনি রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে পারেন বলেও এদিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য শুনে প্রত্রিক্রিয়ায় বলেছেন, “রাজ্যপাল চাইছেন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় যাতে দুর্নীতি না আসে। আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষ। তিনি রাজীব কুমারের গ্রেফতারি আটকাতেও ধর্নায় বসেছিলেন। এটাই ওনার কাজ।”

এদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনায় একদিকে রাজ্যপালের অধিকার নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছেন  তেমন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage block publication
Advertisement
homepage block publication
Advertisement
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!