- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২২, ২০২৪
পার্ক সার্কাসের সভা থেকে মমতা বললেন, “আমরা দেশকে ভাগ করতে চাই না, বাংলাকে বড় ভূমিকা নিতে হবে”
পার্ক সার্কাসে সংহতি মিছিলের শেষে সভা থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বললেন, “আমরা দেশকে ভাগ করতে চাই না। আমরা শান্তি চাই। জয় সম্প্রীতি, জয় বাংলা, সর্ব ধর্ম ভাই ভাই।”
সোমবার ছিল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওই একই দিনে বাংলায় একটি মিছিল করবেন। সেই মিছিল রাজনৈতিক মিছিলে পরিণত হবে না। ধর্মীয় মিছিলও হবে না।তাঁর মিছিলে সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।
“How can we embrace a place of worship built over dead bodies of innocents?” – Smt @MamataOfficial
Today, Smt Mamata Banerjee undertook the Sanhati Rally, addressing thousands of people who joined in the mission to celebrate the unity of diverse faiths that make our country… pic.twitter.com/bPHnYScjJw
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 22, 2024
পূর্ব ঘোষণা মতো মমতা নিজে সোমবার হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত মিছিল করেন। মিছিলে একই সঙ্গে তিনি মন্দির, মসজিদ, গির্জা এবং গুরুদ্বারে গিয়ে প্রার্থনাও সারেন। সংহতি মিছিলের মূল সভামঞ্চ পার্ক সার্কাস ময়দানে। সেখান থেকেই সংহতির বার্তা দেন মমতা।
রামমন্দির উদ্বোধনে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন আগেই মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি অযোধ্যা যাচ্ছেন না। এমনকি, রামমন্দির উদ্বোধনকে ভোটের আগে গিমিক বলে আগেই কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। পার্ক সার্কাস থেকেও রামমন্দির নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে বলে সমালোচনা করলেন।
এদিন সংহতি সভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘নেতাজির জন্মদিনে ওদের ছুটি দেওয়ার কথা বলেছিলাম, দেয়নি। আর আজ ওরা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতা দিবস। ওদিকে স্বাধীনতা দিবসে ওদের কোনও ভূমিকাই ছিল না। এরা কে কি খাবে, কে কি পরবে সব ঠিক করে দিচ্ছে। ভোটের আগে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু লোক। বাংলাকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।
তৃণমূলনেত্রী এদিন ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন,”আমরা ভয় পাই না। আমরা কাপুরুষ নই। আমরা একাই লড়ব। আমি বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ দিয়েছি, অথচ বৈঠকে সম্মান পাই না’। সিপিএম বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে। আমি সেটা মানব না।’’
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজকের দিনটা আমার কাছে গর্বের। কারণ যেদিন দেশে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভেদাভেদ চলছে, তখন বাংলায় ধর্মীয় সংহতি যাত্রা হচ্ছে। গরীবদের বঞ্চিত করে ধর্ম নিয়ে বিভাজন করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের নেত্রী বার বার বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা বাড়ির ভিতরে ধর্ম করব। বাইরে নয়। আপনারা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে এসেছেন, আমি বক্তব্য দীর্ঘায়িত করব না।
সোমবার দুপুর ৩ টেয় হাজরা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংহতি মিছিল শুরু হয়। প্রথমে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে একে একে গুরুদ্বার, মসজিদ এবং গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন তৃণমূলনেত্রী। মিছিলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই মমতা পৌঁছে যান পার্ক সার্কাস ময়দানের সংহতি মিছিলের সভা মঞ্চে। অনুষ্ঠান মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
❤ Support Us