Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • আগস্ট ২৮, ২০২৩

শব্দবাজি নয়, সবুজবাজি বানান, জীবন, জীবিকা দুইই বাঁচবে : মমতা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শব্দবাজি নয়, সবুজবাজি বানান, জীবন, জীবিকা দুইই বাঁচবে : মমতা

মেয়ো রোড থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বাজি শ্রমিকদের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘‘সবুজ বাজি তৈরি করুন। তাতে টাকা কিছুটা কম হবে। কিন্তু জীবন তো বাঁচবে।’’ অর্থাৎ দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এই বিষয় মুখ খুলেই প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, শব্দবাজি নয়, সবুজবাজি বানান। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের জনসভা থেকে যেদিন সেই মন্তব্য করলেন মমতা, তার ঠিক আগেরদিনই উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনা নিয়ে সোমবার সরাসরি মন্তব্য না করলেও তাঁর ইঙ্গিত যে দত্তপুকুরের ছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।
বাজি কারখানার বিস্ফোরণের কথা বলতে গিয়ে এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তো মানুষ মরছেন। রেল দুর্ঘটনায় ৩০০ জন মারা গেলেন। মিজোরাম, মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতে মানুষ মারা যাচ্ছেন। সেখানে তো কোনও দল পাঠানো হচ্ছে না।’’

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে এদিন নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়েগের বিষয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন ,  ‘‘এটা মগের মুলুক নাকি? বিজেপি সেলের প্রেসিডেন্টকে উপাচার্য করে দিল। আপনি মনোনীত, আমরা কিন্তু নির্বাচিত।’’

মিজোরামে মালদার শ্রমিক মৃত্যুর প্রসঙ্গে মমতা বলেন,  বাংলায় সব সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও কেউ বাইরে কাজ করতে গেলে তাঁর সরকারের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, ‘‘এখানে সব করে দিয়েছি। ব্যবসার টাকাও দেব বলেছি। তা-ও কেউ বাইরে গেলে আমি কী করতে পারি? বাংলা তো শিক্ষায় এক নম্বর। তা-ও বাইরে পড়তে যান অনেকে। যেতেই পারেন।’’

এদিন চন্দ্রাযান -৩ এর – সফ্ট ল্যান্ডিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ দেখতেই পাননি। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘টিভির সামনে বসে ছিলাম। ল্যান্ডিংটা তো দেখতেই পেলাম না। সফ্‌ট ল্যান্ডিং হল না রাফ, বোঝা গেল না। অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে অন্য এক জনের ছবি ভেসে উঠল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগেও মহাকাশ অভিযান হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধির সময়েও হয়েছিল। এটা নতুন কিছু নয়। আমাদের ছেলেমেয়েরা দক্ষ। আমেরিকা, ব্রিটেন সব জায়গায় তারা কাজ করছে।” তবে চন্দ্রাযান-৩-এর সাফল্যের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইসরো যা করেছে, তাদের অভিনন্দন জানাই। ওখানে বাংলার ২৮ জন আছেন। বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদ তাঁরা। আমি তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি দিয়েছি। ওঁদের সময় হলে এখানে রাজপথে ওঁদের সংবর্ধনা দিতে চাই।’’

ছাত্রদের এই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “হাওড়ায় আরও দু’লক্ষ, বানতলায় পাঁচ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। দেউচা পাঁচামিতে আরও এক লক্ষ মানুষ চাকরি পাবেন। চাকরির অভাব নেই। শিক্ষক পদে ২৪ হাজার শূন্যপদ আছে। কিন্তু নিয়োগ করতে পারছি না। কেউ না কেউ আদালতে মামলা করে দিচ্ছে। তাতে আটকে যাচ্ছে।’’ চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘আপনারাই বলে দিন না কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে? দরকার হলে বিচারকের অধীনে পরীক্ষা হোক, আমার আপত্তি নেই। কিন্তু চাকরি তো হবে।’’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!