Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩

সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা: বেড়ালের গলায় ঘন্টা কাউকে তো বাঝতেই হবে, আলোচনার জন্য সব সময় খোলা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা: বেড়ালের গলায় ঘন্টা কাউকে তো বাঝতেই হবে, আলোচনার জন্য সব সময় খোলা

মঙ্গলবার “ইন্ডিয়া” জোটের বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা গুরুত্ব পাবে। এই বৈঠকের আগের দিন দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আসন সমঝোতা খুব সহজ কথা নয়। আমি কারও উপর আমার নীতি চাপিয়ে দিতে চাই না। আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে। দু-একটি দল ছাড়া বাকি সবাই ইন্ডিয়া জোটে ঐক্যবদ্ধ। বিজেপির বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে এই বিষয়ে আলোচনার রাস্তা খোলা আছে। তবে দু-একটি দল যদি অরাজি হয় তাহলে সেই ওষুধ তো আমার কাছে নেই।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যেই এখনও স্থির রয়েছেন তিনি ও তাঁর দল। তবে মমতা বলেন,  “আসন সমঝোতা খুব সহজ কাজ নয়।” তিনি বুঝিয়ে দেন, “এই নিয়ে আরও আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। এখনও সময় ফুরিয়ে যায়নি।” তবে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, “বেড়ালের গলায় ঘণ্টা কাউকে তো বাঁধতে হবে। সবাই আসন সমঝোতা চায়। আমি কারও উপর আমার মত চাপিয়েদিতে চাইনা। অনেকেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কেউ কেউ এজেন্সির ভয় পেয়েছে। আমার কারও উপর অসন্তোষ নেই।” এমন কি সিপিএম-এর সঙ্গে সমঝোতাতে তাঁর “অসুবিধা নেই”, বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, “বাংলায় তো কংগ্রেসের ২টি আসন আছে।”  অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দেন, তাঁর আগের অবস্থানে থেকে তিনি কংগ্রেসকে ২টির বেশি আসন ছাড়তে সম্মত নন। তাই বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে ওই দুটি আসন নিয়েই কথা হবে, এই ইঙ্গিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে নেতা করে “ইন্ডিয়া” জোটে এগোতে না চাইলেও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সোমবার বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ বারের সাংসদ, দুবারের রেল মন্ত্রী, তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রকল্প অন্য রাজ্যে তুলে ধরে বিভিন্ন দল নির্বাচনী প্রচারে লড়ছে। দেশ নকল নেতা চায় না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ করে ইন্ডিয়া জোট এগোক।”

কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের এখন দুটো ভোর কেন্দ্র হয়ে গেছে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও ভাবেই দলকে এখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তাই কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার পাল্টা বিবৃতি দিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে রাজ্য থেকে পরাজিত করে সারা দেশে যে সুনাম অর্জন করেছিলেন সেটা এখন তাঁর নেই। বিপাকে পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন এক কাঁধে কংগ্রেস অন্য কাঁধে সিপিএমকে বয়ে বেড়াচ্ছে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!