Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ২৪, ২০২৪

“বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত”, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত”, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

“বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের সিদ্ধান্ত লোকসভা ভোটের পর নেওয়া হবে”, হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে “ইন্ডিয়া” জোট ও কংগ্রেস প্রসঙ্গে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে দিলেন”ইন্ডিয়া”জোট শরিক হিসাবে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হচ্ছে না। বাংলায় তিনি তাঁর দল নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একাই লড়বেন বলেও জানালেন। পাশাপাশি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেস ৩০০ আসনে লড়লে তাঁর আপত্তি নেই। ৩০০-র বেশি আসনে লড়লে তিনি ও আঞ্চলিক দলগুলো কংগ্রেসকে “বুঝে” নেবে।
এদিকে মমতার এই বিস্ফোরক মন্তব্য শুনে সিপিএম ও কংগ্রেস প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “ইন্ডিয়া” জেটে থাকবেন না আগেই আমরা বলেছিলাম, সেটা এবার প্রমাণ হল।

বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে যাওয়ার আগে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে তৃণমূলনেত্রী আসেন হেলিকপ্টার ধরতে। তখন সাংবাদিকরা তাঁর কাছে মঙ্গলবার রাহুল গান্ধির তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে দাবি করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তেজিত ভাবে বলেন, “আমার সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি। আমি প্রথমদিনই প্রস্তাব দিয়েছিলাম, প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরাও ইন্ডিয়া জোটের শরিক। বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ভোটের পর সিদ্ধান্ত নেবো। ৩০০ আসনে কংগ্রেস একা লড়াই করুক সেখানে আঞ্চলিক দল অংশগ্রহণ করবে না। ৩০০ র বেশি আসনে হলে আমরা বুঝে নেবো।”

রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বাংলায় আসা প্রসঙ্গেও ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি রাহুল গান্ধির নাম না করে বলেন, “বাংলায় আসছেন আমায় জানিয়েছেন? আমরা জোট শরিক, একটা কার্টসি আছে তো! বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলায় তৃণমূল একাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে। তৃণমূল সেকুলার দল।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন সমঝোতা হচ্ছে না। আর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই তিনি নেবেন।

প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধি মঙ্গলবার বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ও তৃণমূল দলের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আছে। তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। কেউ কেউ কখনও কিছু বলতে পারে, সেটা ইন্ডিয়া জোটের সমস্যার কারণ হবে না। তবে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন, “কারও সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। সব ভুল তথ্য।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ বলেন, “দেখুন সময়ের দাবি ছিল এটা বলার,ওনাকে এটা বলতেই হতো তিনি ইন্ডিয়া জোটে থাকছেন না। এটা উনি না বললে দিল্লির দাদারা ওনার উপর রাগ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথা বলা ছাড়া তাই অন্য কোনও উপায় নেই, এটা ওনার রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। সংসদে অনুপস্থিত থেকে বারবার বিতর্কিত বিল পাশ হতে সহায়তা করেছেন ওনার দলের সাংসদরা। বাংলায় বিজেপিকে জায়গা করে দিচ্ছে তৃণমূল। এছাড়া ওনার উপায় নেই। কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেমন লড়াই করছিল সেটা চলবে।”

এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও ভালো ভাবে চিনুন, আমরা ওনাকে চিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জোটে গেছেন সংখ্যালঘু মানুষদের কাছে তিনি বিজেপি বিরোধী এই ভূল বার্তা দেওয়ার জন্য। মমতা ইডি,সিবিআই তদন্ত রুখতে এই রাজনীতি করছেন, কারণ তিনি বিজেপির পাশে থাকতে চান। আমরা প্রথম থেকেই বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জোটে থাকবেন না, সেটা আজ দেশের মানুষের কাছে প্রমাণ হয়ে গেল।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!