Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

মোহন ভাগবতের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা মমতার

মেদনীপুর স্যালাইন কাণ্ডে ১২চিকিৎসক সাসপেন্ড

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মোহন ভাগবতের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা মমতার

২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনে ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ! সেই দিনটিই পালন করা উচিত। সোমবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে আরএসএস–এর এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছিলেন দলের প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর এই মন্তব্যের পর দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। এবার গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

বৃহস্পতিবার মোহন ভাগবতের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ভাগবতের বক্তব্যকে দেশবিরোধী মন্তব্য বলে অভিহিত করেছেন মমতা ব্যানার্জি। মেদিনীরপুর স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে মোহন ভাগবতের প্রসঙ্গ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ভাগবতের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘‌যে মন্তব্য করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ দেশবিরোধী। আমি এই বিপজ্জনক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। এই মন্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত। এটি ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা। আপনারা কি মনে করেন, দেশের ইতিহাস এভাবে বদলানো যায়? কোনও রাজনৈতিক দল কি সেটা করতে পারে? এটা করা যায় না। আমাদের স্বাধীনতা, প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র আমাদের গর্ব।’‌

মমতা আরও অভিযোগ করেন, ‘‌ইতিহাসের অনেক অধ্যায় জোর করে বদলানো হয়েছে। সংবিধানকেও বদলানোর চেষ্টা হচ্ছে। এইভাবে দেশের স্বাধীনতা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে দেশের পরিচয়ই থাকবে না। দেশের ঐক্য, সংস্কৃতি, বিশ্ববরেণ্য নেতাদের তাঁরা ভুলে যাবেন না। এইভাবে একদিন ভারতের নামই ভুলিয়ে দেবেন এঁরা! কোনও ভাবেই এইসব বিষয় বরদাস্ত করা হবে না।’‌

ইন্দোরের অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘‌ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেনি। রাম মন্দির তৈরি হলে সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল।’‌ ভাগবতের এই মন্তব্যের সর্বপ্রথম বিরোধিতা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, ‘‌১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পায়নি বলাটা প্রতিটি ভারতীয়র জন্য অপমান, এবং এখন সময় এসেছে এই বাজে কথা শোনা বন্ধ করার।’‌

এদিকে, স্যালাইন কাণ্ডে নবান্নের সভাঘর থেকে মৃত প্রসূতির পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কর্তব্যে গাফিলতি না হলে প্রসূতি মাকে বাঁচানো যেত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। কড়া পদক্ষেপ করলেন চিকিৎসকদের দোষারোপ করে।  চিকিৎসকদের গাফিলতি ঠেকাতে এবার ওটির গেট পর্যন্ত এবং অপারেশন থিয়েটরের ভিতরেও সিসিটিভি লাগানো উচিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ‘‌সব অপারেশন থিয়েটারের বাইরে গেট পর্যন্ত সিসিটিভি লাগান। যাঁরা আপত্তি জানাচ্ছে, তাঁদের বলুন প্লিজ ছুটি নিন। কারণ, আপনার ভুলের জন্য মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে কারও বাধা মানব না।’‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!