- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- আগস্ট ৩১, ২০২৩
“পশ্চিমবঙ্গ দিবস” নিয়ে বিধানসভায় ৭ সেপ্টেম্বর আলোচনা, হট্টগোলের ছক গেরুয়া শিবিরের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা নবান্ন সভা গৃহে পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে সর্বদল বৈঠকে বিজেপি যোগ দেয়নি । তবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গ দিবস-এর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে পারে বিজেপি। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। সকলের মতামত নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় পাশ হতে চলেছে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব। তার আগে মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে দাঁড়িয়ে নাগরিকসমাজ একবাক্যে একমত হয়ে জানিয়ে দিয়েছে দেশভাগের অসহনীয় জ্বালায় ক্ষতবিক্ষত কোনও দিন অর্থাৎ ২০ জুন বাঙালির ‘দিবস’ হতে পারে না। এই বৈঠকে যে বিজেপি থাকবে না সেটা খুব স্বাভাবিক ছিল।
আমরা জানি, গত ২০ জুন রাজভবনে দিল্লির নির্দেশে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস “পশ্চিমবঙ্গ দিবস” পালন করেন। ওইদিন বাংলা ভাগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল বেঙ্গল অ্যাসেম্বিতে। কনভেনশনের চিঠি পেয়ে সিপিএম প্রশ্ন তুলেছিল, এত তাড়াহুড়ো কীসের প্রশ্ন তুলে বৈঠকে যায়নি । নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাড়াহুড়ো এই কারণেই যে, একটা কালো অধ্যায়কে স্বীকৃতি দিতে চলেছে দিল্লি। তাই তার আগে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। এদিকে, নবান্নের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার পর বিধানসভাতেও কি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা বয়কট করবে বিজেপি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার পর্যন্ত যা খবর, তাতে পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নিতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির কয়েকজন বিধায়ক। পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে দলের অবস্থান বা মতকে বিধানসভায় নথিভুক্ত করাতেই বিজেপির এই উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে। সরকারের আনা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোটাভুটিও চাইতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাতেই বলেছেন, ‘‘৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভা ঢুকব। সেখান থেকে মিছিল করে রাজ্যপালের কাছে আসব।’’ ফলে স্পষ্ট ওইদিন বিধানসভায় হট্টগোল বাঁধানোর পরিকল্পনা নিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
❤ Support Us