- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ২৮, ২০২৩
নকল ব্যালট ছাপিয়ে এবার পঞ্চায়েতে কারচুপির খেলা । তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রদেশ সভাপতির

ফাইলচিত্র
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক প্রাক মুহূর্তে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বললেন, “নকল ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। বুথ থেকে ব্যালট বক্স যখন স্টং রুমে যাবে,তখন ব্যালট পেপার পাল্টে দেওয়া হবে। পুলিশ যাদের কাছে স্ট্রং রুমের চাবি থাকে, এমন তিনজনের কাছে চাবি চেয়েছিল। এই সরকারি অফিসারেরা পুরুলিয়ায় কাজ করেন। তাঁরা চাবি দিতে না চাওয়ায়, তাঁদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংঘাতিক কারচুপির খেলা খেলতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল।”
এই অভিযোগ অধীর রঞ্জন চৌধুরী সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেই করছেন। ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে থাকে বা ঘটানো শুরু হয় তাহলে ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন ছাড়া অন্য কিছু হবে না, এমনটাই অভিযোগ করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
এদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেছেন, “অধীর রঞ্জন চৌধুরী যা বলছেন সেটা তাকে প্রমাণ করতে হবে।না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে যোগ জানাবো, যাতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি এখন না হত তাহলে ওনার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদটাই চলে যেত। তিনি নিজে তোদের হয়ে পঞ্চায়েতের সমস্ত জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেননি। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তিনি হেরে বসে আছেন। তাই নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে এই সমস্ত আজগুবি কথা তিনি বলছেন।”
গ্রাম দখলের এই নির্বাচনে শাসকবিরোধী চাপানউতোর চলেই। তবে এপর্যন্ত বুথ দখল, খুন, বোমাবাজি, গুলি চালনা ইত্যাদির অভিযোগ শাসকবিরোধী উভয় দল পরস্পরের বিরুদ্ধে করলেও, বুথ থেকে স্ট্রংরুমে ব্যালট বক্স নিয়ে যাওয়ার সময় সেই ব্যালট পেপার পাল্টে দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ এখনো পর্যন্ত এই প্রথম অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে কমিশনের উচিত এই মুহূর্তে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ যাচাই করে পুরুলিয়ার কোন তিন সরকারি আধিকারিক এর কাছে পুলিশ স্ট্রং রুমের চাবি চেয়েছিল সেটা বার করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা এবং উপযুক্ত অবস্থা গ্রহণ করা। পাশাপাশি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই অভিযোগ যদি সত্যি না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ভোট ঘোষণার পর থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত রাজ্যে অনেক ঘটনা ঘটেছে। অনেক অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কাছে। তিনি কোন অভিযোগেরই কেমন করে কোন গুরুত্ব দেননি। এমনকি এখনো পর্যন্ত ভোট ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই খবর নেই। তার দপ্তর এখনো জানাচ্ছে রাজ্যে মোট ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত চার জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ কতটা কমিশন যাচাই করে সেটাই এখন দেখার।
❤ Support Us