- দে । শ
- জুন ২০, ২০২৩
ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক কেন্দ্র, সংসদে চাই পূর্ণাঙ্গ আলোচনা, দাবি কংগ্রেসের

গালওয়ান সীমান্ত সংঘর্ষের তূতীয় বার্ষিকীর একদিন পর আবারও ভারত চিন সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব কংগ্রেস। সোমবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ভারত চিন সীমান্ত জটিলতা প্রসঙ্গে সংসদে বিস্তারিত আলোচনার দাবিও আরেকবার মোদি সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
গালওয়ান সীমান্তে ভারত চিন সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষের তূতীয় বার্ষিকী পূরণের পরদিনই, কংগ্রেস নেতা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিন সীমান্তে যেকটি টহলদারি সেনা ছাউনি আছে, তার ২৬ এবং ৬৫ নং টি এখন রেড আর্মির দখলে । সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা আগ্রাসনের প্রকূত স্বরূপ কী তা দেশের মানুষকে জানাক মোদি সরকার । তিনি অভিযোগ করেন, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বারবার বিরোধীদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে নয়াদিল্লি । সংসদেও এপ্রসঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব উঠলে, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত তুলে নিশ্চুপ থেকেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ।
২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর, সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, সেইসময় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এবং নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য ছিল পরল্পর বিরোধী । প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কেউ আমাদের সীমান্তে প্রবেশ করেনি বা কোনও পোস্ট অন্যের দখলে নেই”। অন্যদিকে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, চিনা সৈন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে, এবং সেনা ছাউনি স্থাপন করার চেষ্টা করেছিল ।
মনীশ তেওয়ারি এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ” একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে আমরা ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ এবং সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ আলোচনার দাবি জানাই । গত তিন বছরে এলএসি-তে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে তার সত্যতা কী তা নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক ।” তিনি বলেন, “এটা কি সত্য যে আমাদের সীমান্তের মধ্যে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে? চিনের এলএসি লঙ্ঘন বন্ধ করতে ভারত সরকার কী করেছে? কেন সংসদে একবারও চীন নিয়ে আলোচনা হয়নি…?”
❤ Support Us