- দে । শ
- মে ১০, ২০২৩
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনার অধিকার নেই কংগ্রেসের, মন্তব্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর
চিত্র: সংবাদ সংস্থা
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রকে সমালোচনা করার অধিকার কংগ্রেসের নেই, বললেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে এসে কংগ্রেস প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন। পাশাপাশি, কর্ণাটকে বিজেপিই আবার ক্ষমতায় ফিরছে, এবিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। নির্মলা সীতারামন কর্ণাটকের রাজ্যসভার সদস্য, বেঙ্গালুরুর জয়নগর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি তাঁর ভোট দিয়েছেন।
মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্মলা সীতারামান বলেন, “তিনি এবং বিজেপি সরকার মানুষের পাশে আছেন।” মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের কাজ তারা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, “বিজেপি সরকার দাম বৃদ্ধি রুখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কংগ্রেসের দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বিজেপি সরকারকে সমালোচনা করার কোনও অধিকার নেই। কারণ কংগ্রেস রাজত্বে ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার পরিস্থিতি ছিল।”
নির্মলা সীতারামান সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা দেখুন, এখানে মানুষ শান্তিতে ভোটের লাইন দাঁড়িয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন, এরই মাঝখানে আমার সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। এই পরিস্থিতিই আভাস দিচ্ছে যে কর্ণাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার বিজেপি ক্ষমতায় আসছে।” বেঙ্গালুরুতে ভোট দেওয়ার পর এভাবেই নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন দেশের অর্থমন্ত্রী।
নির্মলা সীতারামান বলেন, “একজন ভোটার হিসেবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল, “উন্নত পরিকাঠামো, ভবিষ্যতে বেঙ্গালুরু এবং কর্ণাটকে ব্যবসা এবং স্টার্টআপ তৈরি, ‘শ্রী আন্না’ অর্থাৎ বাজরা উৎপাদনকারী কৃষকদের জন্য অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা। আমি এখানে এবং দিল্লিতে বিজেপি সরকারকে ভোট দিয়েছি, কারণ আমরা ডাবল ইঞ্জিন সরকার চাই।”
বেঙ্গালুরুতে ভোটারদের ভোটদানের উদ্বেগের বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি যা দেখছি তাতে, বেঙ্গালুরুতে একটা বড় সংখ্যক মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বেরিয়ে আসছে, আমি আশা করি এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে।”
নির্মলা সীতারামন এদিন মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে বলেন, “আমি কংগ্রেস আমলের ইউপিএ সরকারের সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কোনও তুলনায় যেতে চাই না। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদির সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছেন। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দু’বার পেট্রোলের মূল্যের উপর কর বা শুল্ক ছাড় দিয়েছেন। আমি মানুষের সঙ্গে আছি। এই মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস পাবেই। তবে এই বিষয় বিরোধীরা কিছু বলার আগে নিজেদের সরকারের সময়কার কথা মনে করুক।”
তবে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কটা আসনে জয়ী হবে, এই প্রশ্নের উত্তর নির্মলা সীতারামন এড়িয়ে গেছেন। সীতারামন বলেন, “আমি এবং আমার দল সর্বদা বজরংবলির কাছে প্রার্থনা করি, হনুমান চালিশা পড়ি। কংগ্রেস শুধু নির্বাচনের সময় প্রভু হনুমানের ভক্ত হয়ে ওঠে।”
নির্মলা সীতারামন বলেন, “কর্নাটক হল হনুমানজির ভূমি, কর্ণাটক তাঁর জন্মস্থান।” এর পর নাম না করে কংগ্রেসের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “এখানে এসে আপনি ( পড়ুন কংগ্রেস) আপনার ইস্তেহারে কিছু লিখেছেন, এর চেয়ে বড় মূর্খতার উদাহরণ আর হয় না।” বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বিতর্কের পটভূমিতেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উভয়েই পবনপুত্র হনুমানকে সামনে রেখে হিন্দুদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্রাচীন দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে এবং এই ইস্যুটি তুলে ধরে প্রচারের সময় উচ্চগ্রামে বারংবার ‘জয় বজরংবালি’ স্লোগান দিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “মোদির ক্যারিশমা শুধুমাত্র কর্ণাটকে নয়, সারা দেশে কাজ করে। কারণ যে সব লোকেরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করেন, তারা জানেন যে প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা শোনেন এবং তাদের কথায় সাড়া দেন।”
❤ Support Us