- Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২১, ২০২২
মধ্যপ্রদেশে আবার কী পালাবদল ? কংগ্রেসের আনা অনাস্থায় উঠছে প্রশ্ন

মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিংএর সরকার কি চাপের মুখে? বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারের অস্তিত্ব সংকটে কিনা তাই নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বুধবার মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার অধ্যক্ষ গিরিশ গৌতমের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলনেতা গোবিন্দ সিং। এপ্রসঙ্গে আলোচনায় সম্মতি জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধী কংগ্রেস, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ইঙ্গিত দিচ্ছিল।দিন কয়েক আগেই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন সে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি রাজনাথ।
আজ বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বিরোধী দলনেতা গোবিন্দ সিং বলেন, রাজ্য পরিচালনায় ব্যর্থ শিবরাজ সিং সরকারে যাবতীয় কুকীর্তি জনগনের সামনে তুলে ধরবে কংগ্রেস।তিনি এদিন ১০৪ পাতার একটি চার্জশিটের কথাও সভাকক্ষে উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, সেই রাজ্যের বিরোধী শিবির কংগ্রেস, ৫১ টি অভিযোগ ওপর ভিত্তি করে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে । যার বেশিরভাগই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। পাশাপাশি নার্সিং কলেজ প্রকল্প এবং আবগারি দুর্নীতি নিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চারা। এছাড়া আদিবাসী বঞ্চনা, রাজ্যের ঋণভার নিয়েও ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, রাজ্যকে দেনার দায়ে ডুবিয়ে উন্নয়নের গতিকে স্তব্ধ করেছে শিবরাজ চৌহানের সরকার। যদিও এইসব অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি বিধায়করা।
তাদের বক্তব্য, সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করবার মত ইস্যু না পেয়ে মিথ্যে অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক মঞ্চে ফায়দা তুলতে চাইছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তোলা অনাস্থা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে, সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, আমরা পরীক্ষায় প্রস্তুত ।
রাজনৈতিক পরিসংখ্যানবিদরা এবিষয়ে জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশে বর্তমানে ১২৭ টি আসন বিজেপির দখলে আছে । অপরদিকে কংগ্রেসের হাতে ৯৬ টি ।এই মুহূর্তে অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিশেষ কোনও ফায়দা তুলতে পারবে না রাজ্যের বিরোধী কং শিবির। হিমাচল বিধানসভা এবং দিল্লি নগর নিগমের নির্বাচনে জনমত বিজেপির বিরুদ্ধে গেছে, সেই হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে, মধ্যপ্রদেশে বিধানভায় সরকারকে চাপে ফেলার এ এক রাজনৈতিক কৌশল বলে মন করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
❤ Support Us