- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১৮, ২০২২
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ, অপেক্ষা ১৯ অক্টোবরের

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে সোমবার বিকেলে শেষ হয়েছে ভোটদান পর্ব। দেশের ৩৬টি জায়গায় ৪০টি কেন্দ্রে এই ভোটদান পর্ব চলে। প্রায় ৯ হাজার সদস্য এই ভোটপর্বে অংশ নেন। কংগ্রেসের এই সভাপতি নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি। ১৯ অক্টোবর জানা যাবে, কার হাতে কংগ্রেসের ভার যাচ্ছে।
কংগ্রেসের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবার সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। ২০১৭ সালে রাহুল গান্ধী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দলের চূড়ান্ত বিপর্যয়ের পর তিনি সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। এতদিন সোনিয়া গান্ধীই দল চালাচ্ছিলেন। এবার নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হচ্ছে। সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং শশী থারুর। ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেসের সভাপতি হতে যাচ্ছে।
এদিন দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে ভোট দেন সনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা বটরা গান্ধী। এছাড়া সভপতি পদে লড়াই করা দুই প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুরও সদর দপ্তরে ভোট দেন। এছাড়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট প্রমুখও ভোট দেন। ভারত জোড়ো যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু তার মাঝেই সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন তিনি। কর্নাটকের বাল্লারিতে প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে ভোট দেন তিনি। সেখানে অস্থায়ী বুথের বাইরে সাধারণ কংগ্রেস নেতা–কর্মীর সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন রাহুল।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে এদিন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদী বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক উপায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। সবাই নিজেদের পছন্দমতো ভোট দিচ্ছেন। কংগ্রেসে যে ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেরকম নির্বাচন অন্য কোনও দলে হয় না।’ সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়ানো শশী থারুর বলেন, ‘এমন কিছু নির্বাচন আছে যেখানে লড়াই করাটাই আসল। অনেক সময় বর্তমান এই লড়াইয়ের তাৎপর্য বুঝতে পারে না। কিন্তু ভবিষ্যত তার মূল্যায়ন করবে।’ শশীর এই মন্তব্য শুনেই বোঝা যায়, তিনি জয়ের আশা করছেন না।
❤ Support Us