- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ৪, ২০২৩
মায়ানমারের কোকো দ্বীপে প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন।প্রকাশ্যে সামরিক তৎপরতার ছবি।প্রতিক্রিয়াহীন নয়াদিল্লি
চিনকে নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়ল। মায়ানমারের কোকো দ্বীপপুঞ্জে চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মির সক্রিয়তা ধরা পরেছে উপগ্রহ চিত্রে। কোকো দ্বীপপুঞ্জ মায়ানমারে অধীনে। জুন্টা সরকারের ওপর নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে ভারতের ওপর পাল্টা চাপ বাড়াতে তৎপর বেইজিং। লন্ডনের স্বাধীন নীতি প্রনয়নকারী সংস্থা চ্যাটাম হাউস এবিষয়ে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
উপগ্রহ থেকে যে ছবিগুলি তোলা হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ছবিতে স্পষ্ট কোকো দ্বীপপুঞ্জের নানা অংশে নির্মাণের কাজ চলছে।সীমন্তবর্তী ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি খবর সংগ্রহ করতেই লাল ফৌজের এই তৎপরতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিগুলিতে ধরা পড়েছে, কোকো দ্বীপপুঞ্জের এয়ারবেসের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ২৩০০ মিটার করা হয়েছে। একদশক আগে এই এয়ারবেসের দৈর্ঘ্য ছিল ১,৩০০ মিটার।
কোকো দ্বীপপুঞ্জ ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৫৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।এই দ্বীপ নিয়ে বিতর্ক যদিও নতুন কিছু নয়। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর ওপর গোপনে নজরদারি চালাতে মায়ানমার সেনা চিনকে সহায়তা করছে। বিনিময়ে জিনপিং সরকার জুন্টাকে অর্থ আর অস্ত্র জুগিয়ে সেদেশে জুন্টাদের ক্ষমতাকে দৃঢ় করছে। পাশাপাশি বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থার স্বার্থসিদ্ধিতেও অর্থের বিনিময়ে মদত যোগাচ্ছে মায়ানমারে সামরিক সরকার এ অভিযোগও বহু চর্চিত।
উপগ্রহ থেকে ছবিগুলি তোলা হয়েছে ম্যাক্সার টেকনোলজিতে। চিন-মায়ানমার করিডর প্রকল্পে বেজিং সেখানে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। যদিও কার্যত এতে চিনই সুবিধা পাবে বেশি। ভারত মহাসাগরে চিন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে।
Map of the region highlighting the proximity of the island to the Andamans where India's Tri Service Command hosts multiple Naval & Air Force stations along with strategic forward Naval Bases pic.twitter.com/5Fl59hmzwD
— Damien Symon (@detresfa_) March 31, 2023
মায়ানমারের জুন্টা সরকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের মায়ানমারের কোকো দ্বীপপুঞ্জে গোয়েন্দা সক্রিয়তা বাড়ানোর ব্যাপারে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। মায়ানমারের জুন্টা সরকার সম্পর্কে ভারতের বিদেশমন্ত্রক কী বিবৃতি দেবে তার অপেক্ষা করতে হবে। কেননা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে চিন যেভাবে নিজের প্রভাব লাগাতার বাড়িয়ে চালাতে উদ্যোগী, সেটা ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জের।
❤ Support Us