Advertisement
  • দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪

অকাল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বসিরহাট। মন্ডপ সজ্জা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুজো উদ্যোক্তারা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
অকাল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বসিরহাট। মন্ডপ সজ্জা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুজো উদ্যোক্তারা

কোথাও হাঁটুর নিচে জল, কোথাও কাদা আবার কখনও আকাশ ভেঙে বৃষ্টি । নাস্তানাবুদ ডেকরেটর শ্রমিকরা। বসিরহাটে মন্ডপ তৈরি শ্লথ গতিতে। মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের। আবহাওয়ার মতিগতিতে ঘুম ছুটেছে বসিরহাটের পুজো কমিটিগুলের। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে মন্ডপের কাজ থমকে গেছে। বড় পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে ভাঁজ কী ভাবে শেষ হবে মন্ডপের কাজ। এখনও যদি আর বৃষ্টি না হয় তবে সামলে নেওয়া যাবে । ডেকরেটর শিল্পীরা জল, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে তাজ করে চলেছেন। অনেক মন্ডপের সামনে জল জমে গেছে। সেই জল না সরা পর্যন্ত অনেক মন্ডপের কাজ করতে পারছে না ডেকরেটরের শ্রমিকরা। তবে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না তাঁরা। ভাবাচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এরকম দুর্যোগ হলে কী করে মন্ডপের কাজ শেষ হবে। এমনিতেই কাজের গতি এবারে শ্লথ আবাহাওয়ার কারণে। বসিরহাটে নয় নয় করে শতাধিক বারোয়ারি পুজো হয়। তার মধ্যে বড় বাজেটের পুজো রয়ে অনেক গুলি। বসিরহাটের নৈহাটি বিদ্যুৎ সঙ্ঘ, বদরতলা রিক্রিয়েশন ক্লাব, নৈহাটি তরুণ সঙ্ঘ, উই দি গ্রিন ক্লাব, অগ্রগামী, প্রভাতী সঙ্ঘ, বিবেকানন্দ স্পোর্টিং, জামরুলতলা যুবক সঙ্ঘ, সবুজ সঙ্ঘ, মুন ক্লাব, বাজারপাড়া সার্বজনীন, প্রান্তিক, ভারতীর মত বড় বাজেটের পুজো গুলি এখনও মন্ডপের কাজ সেভাবে এগোয় নি। বৃষ্টি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বসিরহাটে ১৯৯ টা ক্লাবকে রাজ্য সরকারের অনুদান দেওয়া হয়েছে। সবুজ সঙ্ঘ ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক দীপ সরকার বলেন, ‘‌এবারে প্রাকৃতিক মর্জি মত আমাদের চলতে হচ্ছে। মন্ডপ তৈরি থেকে শুরু করে প্রতিমা আনা সবেতেই বাধা। তার মধ্যেও বসিরহাটে উৎসবের মেজাজে কোন খামতি থাকবে না।’‌ দীপ বলেন, এবারে চাঁদা আদায়ের হাত খুব খারাপ। স্পনসর নেই বললেই চলে। বিজ্ঞাপন দাতারা হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন। সরকারি অনুদান না থাকলে পুজো করাই মুশকিল হয়ে পড়ত।’‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!