Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • নভেম্বর ১৬, ২০২৩

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ৭২ ঘণ্টা পর অভিযুত্ক আনিসুর লস্করকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ৭২ ঘণ্টা পর অভিযুত্ক আনিসুর লস্করকে রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ

জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় রানাঘাট থেকে পুলিশ আনিসুর লস্কর নাম এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আনিসুর লস্কর সিপিএম নেতা। পরে পুলিশ আবার বলে ধৃত আনিসুর লস্কর সিপিএম কর্মী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আনিসুর লস্কর সিপিএম ছিলেন। তারপর সে তৃণমূলে যোগ দেয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে সে আবার সিপিএম-এ ফিরে আসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে সইফুদ্দিন লস্করের সঙ্গে আনিসুর লস্করের সঙ্গে বিবাদ হয়, সম্ভবত সেই বিবাদের জেরেই আনিসুর লস্কর সইফুদ্দিন লস্করকে খুন করে বলে পুলিশের দাবি।

গতকাল বাসন্তীতে ছিলেন আনিসুর লস্কর। পুলিশ তাঁর মোবাইল টাওয়ার ট্রাক করে বাসন্তীতে পুলিশ তাঁকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে রানাঘাটে চলে যান। শেষ পর্যন্ত পুলিশ রানাঘাটে আনিসুরের মোবাইলের টাওয়ার ট্র্যাক করে অবশেষে রানাঘাট থেকেই তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

আনিসুরের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “প্রথম থেকেই জয়নগরের সইফুদ্দিন লস্করের খুনেরঘটনা সিপিএ-এর দ্বারা ঘটানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেই সিপিএম নেতাই ধরা পড়ল। আসলে সিপিএম-এর হার্মাদরা ৩৪ বছর রাজ্যে অনেক খুন, গণহত্যা, গণধর্ষণ করেছে। এখনও সিপিএম তাদের সেই পুরনো ঘটনা থেকে বার হতে পারেনি। সিপিএম-এর সন্ত্রাসের রাজনীতি প্রমাণিত হল।”

এদিকে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ একবার বলছে আনিসুর লস্কর সিপিএম নেতা, পরেই আবার বলছে সিপিএম কর্মী। আমার জানা নেই এই নাম সিপিএম-এর কোনও পার্টি সদস্য আছেন। কর্মী থাকতেই পারেন। আবার বলছে সে আগে সিপিএম ছিল, তারপর তৃণমূলে গিয়ে আবার সিপিএম-এ ফিরে আসেন। ঘটনার দিন দুটো বাইকে করে একটিতে তিনজন অন্যটিতে দুজন এলো। তাদের মধ্যে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। আর একজনকে ধরল পুলিশ। যাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁর স্ত্রী বলেছেন তাঁর মৃত স্বামী তৃণমূল করত। আমার প্রশ্ন বাকি তিন জন কোথায় গেল? যারা দোলুয়াখাঁকি গ্রামে সাধারণ মানুষদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিল তাদের কি হল? এদের আড়াল করতেই কি সিপিএম-এর নাম করে আনিসুর লস্করকে পুলিশ ধরল?”
এদিকে আনিসুরের মা ও স্ত্রীর দাবি, আনিসুর খুনের ঘটনায় জড়িত নয়। ঘটনারদিন আনিসুর বাড়িতেই ছিল। তার পর যখন জানতে পারে তাঁর নাম এফআইআর-এ রয়েছে, তখন সে আতঙ্কিত হয়ে পরে। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
তবে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর রানাহাট থেকে এফআইআর-এ নাম থাকা আনিসুর লস্কর সহ দুজনকে গ্রেফতার করল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনিসুর রানাঘাট হয়ে মুর্শিদাবাদ পালাবার চেশটা করছিল। আনিসুরকে জেরা করে এখন খুনের আসল কারণ জানার চেষ্টা শুরু করেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!