- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১৪, ২০২৪
তৃতীয় দফার পর কেন্দ্র-রাজ্য শাসকের অস্ত্র কেন হিংসা, সিএএ নিয়ে কেন সুর বদল তৃণমূলের ? প্রশ্ন তুললেন সেলিম

সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে সামনে রেখে ভোটের বৈতিরণী পার করতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল । সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই বিরোধী দুই শিবিরকে বিঁধলেন সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ।
রাজ্যে উত্তরবঙ্গ, পশ্চিমের ভোট পর্বের পর যত দক্ষিণাঞ্চলের ভোট এগিয়ে আসছে ততই হিংসাকে আশ্রয় করছে রাজ্যের শাসক শিবির । ভোটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসছে তূণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব । উসকে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে । পাশাপাশি তাঁর দাবি, ৪০০ সিট জয়ের যে দাবি লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকে বিজেপি করে আসছিল, সেই হাওয়া ক্রমশই মন্দিভূত । ভোট শেষে সারা দেশে, তার অর্ধেক সিটও বিজেপি পাবে না ।
সিএএ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের শর্তাসাপেক্ষ সমর্থনের মন্তব্যের সমালোচনা করে, সেলিম এদিন বলেন, এতদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংশোধিত নাগরিক বিল প্রয়োগের বিরোধিতা করেছেন, এখন মতুয়া ভোট জয়ের লক্ষ্যে, সিএএ নিয়ে এখন সুর বদল কেন । ভাইপোকে কেন্দ্রের এজেন্সির হাত থেকে বাঁচাতেই কী এই নয়া কৌশল, এপ্রশ্নও তুলেছেন তিনি ।
সিএএ বিল সারা দেশে লাগু হওয়ার পর, একজনও মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ সেখানে আবেদন করেনি । কারণ তারা এখানকার স্বাভাবিক নাগরিক। ফলে সিএএ নিয়ে মুখ পুড়েছে বিজেপির । আসামে নির্বাচন মিটতেই ফের সেখানে ডিলিমিটেশন ক্যাম্পের উৎপাত শুরু হয়েছে । টিমসি এখন বলছে সিএএ সমর্থন করছে । বাঙালি অখন্ড জাতিসত্তাকে বিভাজিত করার একটি চক্রান্ত । ইন্ডিয়া ব্লক গোড়া থেকেই এর বিরোধিতা করে এসেছে ।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলেন, শুধু সন্দেশখালি নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গত দশ বছর ধরে অরাজকতা চলছে । বিধানসভায় এর প্রতিবাদ করতে গেলে বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে । সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্ৰশ্ন তোলেন তিনি । পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ডায়মন্ডহারবারে বাম প্রার্থীর দলীয় প্রচারে ব্যানার লাগাতে দিচ্ছে না পুলিশ । রাজ্যের শাসকদলের নির্দেশেই সেখানে রাজনৈতিক অরাজকতা চলছে ।
❤ Support Us