- দে । শ
- আগস্ট ৩১, ২০২৩
রাহুল-মোদিকে এক বন্ধনীতে রেখে অভিষেকের সমালোচনা। ধর্মতলা থেকে হুঙ্কার সেলিমের

মুম্বইয়ে যখন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের প্রস্তুতি চূড়ান্ত, তখন ধর্মতলায় খাদ্য আন্দোলন দিবসের সভামঞ্চ থেকে একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধিকে নিশানা করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সোলিম।
বুধবার সাতসকালে দিল্লিতে রাহুল গান্ধি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে যখন বঙ্গ রাজনীতিতে সাড়া পড়ে গেছে, তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং রাহুল গান্ধিকে এক সঙ্গে আক্রমণ করে বসলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টিভেজা ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘কোনও রাহুল, কোনও মোদি অভিষেককে বাঁচাতে পারবে না ! এক মাসের মধ্যে যদি ইডি, সিবিআই অভিষেককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে, তা হলে সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করা হবে!’’
কলকাতা থেকে সেলিম যখন এই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন রাহুল গান্ধি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তখন মুম্বইয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় , রাহুল গান্ধির সঙ্গে একই ঘরে সিপিএম দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বৈঠক করতে চলেছেন, ওই একই সময় ঘটনাচক্রে মুম্বই পৌঁছেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। বিমানবন্দরে নামার পর মরাঠা সংস্কৃতি মেনে তাঁর কপালে লাল টিকা পরিয়ে দেওয়া হয়। সম্ভবত কপালে রক্ত তিলক নিয়েই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দেন।
রাহুল-অভিষেকের একান্ত বৈঠক নিয়ে মহম্মদ সেলিম যে ভাবে বলেছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিষেক ‘বাঁচার জন্য’ রাহুলের কাছে গিয়েছেন।
এদিন সেলিমের এই বক্তব্যের পর সিপিএমের অনেকে বলছেন, রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সেলিম আসলে কী দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেই বার্তা দিলেন?
একে রাহুলের সঙ্গে ইয়েচুরির বন্ধুত্বের বিষয়টা জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত বিষয়। তার উপর মমতার সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে ইয়েচুরির উপস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সিপিএম নেতাদের নিচুতলার তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। সিপিএমের ওই অংশের মতে, সেই বিষয়টি ভেবেই রাহুল, অভিষেক, মোদিকে কী এক বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানালেন সেলিম।
আবার অনেকে বলছেন, সেলিম ‘মরিয়া’ হয়ে ওই আক্রমণ করেছেন। কারণ, ওই মন্তব্য না-করলে রাজ্যে তাঁর এবং তাঁর দলের ‘রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, তাঁরা বরাবরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবং অভিষেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এসেছেন। সেই পরিস্থিতিতে ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম নেতা রাহুল যদি অভিষেকের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসে পড়েন, তা হলে ঘটনাটি সিপিএমের পক্ষে খুব ‘স্বস্তিকর’ হয় না। সিপিএম এখনও জানে, তৃণমূল-বিজেপিকে রাজ্য থেকে উৎখাত করতে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে চলছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সাতসকালে রাহুল-অভিষেক বৈঠক বাম-কংগ্রেস জোটকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। তাই সিপিএম-এর রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে সেলিম এক বন্ধনীতে রাহুল-মোদি-অভিষেককে বিঁধলেন।
❤ Support Us