Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ২১, ২০২৪

পুনে সড়ক দুর্ঘটনায় ধৃত নাবালকের বাবা, পানশালার মালিক। আদালতের ‘শাস্তিদান’ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পুনে সড়ক দুর্ঘটনায় ধৃত নাবালকের বাবা, পানশালার মালিক। আদালতের ‘শাস্তিদান’ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

মহারাষ্ট্রের ওউরঙ্গাবাদ থেকে পুনের সড়ক দুর্ঘটনা কাণ্ডে ধৃত ১৭ বছরের কিশোরের বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বারের মালিকদেরও।  তাদের অপরাধ তাঁরা ওই নাবালককে পানীয় সরবরাহ করেছিল।

অনীশ আওধিয়া ও অশ্বিনী কোস্তা দুই ইঞ্জিনিয়ার পুনেতে থাকতেন চাকরি সূত্রে। গত রবিবার তাঁরা একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার পথে পড়েন ঐ নাবালকের বিলাসবহুল পোর্সের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,  যানটির গতিবেগ ছিল কমপক্ষে ঘন্টায় ২০০কিমি। ছিলনা কোনো নম্বর প্লেট। প্রচন্ড গতিতে আসা গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে ঐ বাইকটিতে। অশ্বিনী প্রায় ২০ফুট উচ্চতায় গিয়ে সজোরে আছড়ে পড়েন মাটিতে। অনীশ ছিটকে পড়েন একটি পার্ক করা গাড়ির উপর। দুজনেই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিকে আটক করে সাধারণ মানুষ।ড্রাইভার ছাড়া দুইজন আরোহীর একজন পালাতে সক্ষম হলেও,বাকি দুইজন জনতার রোষের মুখে পড়ে। উন্মত্ত জনতা তাদের প্রহার করতে থাকে। ঘটনাস্থলে পনেরো মিনিটের মধ্যেই পুলিশ পৌঁছে যায়। গোটা ঘটনাটি সিসিটিভিতেও ধরা পড়েছে।

বর্তমানে এই  ঘটনার তদন্ত করছে পুনে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুনের সেশন কোর্টের রায়দানের পরে পুলিশ নাবালকের বাবাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাঁকে সন্তানের প্রতি ইচ্ছাকৃত অবহেলার দায়ে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ৭৫ ধারায় ও নাবালককে নেশা করতে সাহায্য করার অপরাধে ৭৭ নম্বর ধারায় আটক করেছে।

পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন , ওই নাবালকেরা গাড়ির পিছনে বসে মদ্যপান করেছিল। বাইকের সাথে সংঘর্ষের আগেও তারা নেশা করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রে মদ্যপানের জন্য নির্ধারিত বয়স ২৫।  স্বাভাবিকভাবেই পানশালার মালিকের বিরুদ্ধেও পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। ধৃত নাবালক জানিয়েছিল , দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার আনন্দে বন্ধুদের সাথে ‘একটু মজা’ করতে গিয়েছিল সে। তার পরিণতি এমন ভয়ঙ্কর হবে হয়ত কেউই আশা করেনি।

দুর্ঘটনার পরে গাড়িটি জনরোষে পড়লেও আদালত সেই নাবালককে ট্র্যাফিক পুলিশকে সহায়তা করতে,দুর্ঘটনা নিয়ে ৩০০ শব্দের রচনা লিখতে, যথাযথ কাউন্সেলিং সেশন নিতে নির্দেশ দিয়েছে । স্বাভাবিকভাবেই, এত বড় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর আদালতের এই ‘গুরু পাপে লঘু দণ্ড’ দেওয়ার বিষয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে সমালোচনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে পুনের পুলিশ নাবালকে ‘সাবালক অপরাধী হিসেবে বিচার’ করার জন্য  সেশম কোর্টকে একটি লিখিত আবেদন পেশ করেছে। এই প্রসঙ্গে পুনের নগরপাল অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন,’আমরা এই দুর্ঘটনাকে কোনোভাবেই সাধারণ চোখে দেখছিনা। এটিকে আমরা একটি সিরিয়াস অপরাধ হিসেবে গণ্য করছি। এর জন্য আমরা ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের ৩০৪ নম্বর জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছি।’

পাশাপাশি, যে পানশালায় বসে ওই নাবালককে মদ্যপান করতে দেখা গেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় জানার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে পুনের পুলিশ প্রশাসন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!