- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ২৩, ২০২২
গত বিশ্বকাপের রানার্সদের আটকে বাজিমাত মরক্কোর

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে দারুণ চমক দেখিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। শিরোপা দখলে লড়াইয়ে ফ্রান্সের কাছে হেরে রানার্সেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে। শিরোপা না জিতলেও ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছিলেন লুকা মডরিচরা। রাশিয়া বিশ্বকাপ ক্রোটদের নিয়ে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল না ক্রোয়োশিয়া। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর কাছে আটকে যেতে হল। ম্যাচের ফল ০–০।
শক্তির বিচারে মরক্কোর থেকে ১০ ধাপ এগিয়ে ক্রোয়েশিয়া। মাঠের লড়াইয়ে পার্থক্যটা চোখে পড়েনি। মডরিচ, পেরিসিচ, ভ্লাসিচ, ভিদা, স্টানিসিচদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে গেলেন ইউসেপ বিন নাসিরি, হাকিম জিয়েচ, সোসারা। ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগালেন। তবে লুকা মডরিচকে আটকে আসল কাজটা করে দিয়ে যান সোফিয়ান আমরাবাত। হাকিম জিয়েচ বুঝিয়ে দিলেন মেসি, নেইমার, এমবাপেদের পাশে খেলে নিজেকে দারুণভাবে তৈরি করেছেন।
লুকা মডরিচের অবিশ্বাস্য জাদুতেই রাশিয়া বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। এবারও তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল ক্রোটরা। বয়স বেড়েছে, গতি কমেছে। কিন্তু দক্ষতায় মরচে ধরেনি। বেশ কয়েকবার ঝলসে উঠেছিল মডরিচের পা। কাজের কাজ কিছু হয়নি। মাঝমাঠ থেকে ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ তৈরির উৎস ছিলেন তিনিই। প্রথম ১৫ মিনিট ক্রোয়েশিয়ার দাপট ছিল। কিন্তু আক্রমনের তেজ ছিল মরোক্কোর বেশি। দ্রুত গতিতে প্রতিআক্রমণে উঠে আসছিলেন হাকিম জিয়েচ, সেলিম আমাল্লাহরা। সুযোগও তৈরি করেছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
প্রথমার্ধে মাঝমাঠকে প্রাধান্য দিয়ে খেলে দুই দলই। নিজেদের রক্ষণ দূর্গ সামলে আক্রমনের যাওয়ার চেষ্টা ছিল। তবে ম্যাচের প্রমার্ধের ইনজুরি সময়ে ক্রোয়েশিয়াকে গোল থেকে বঞ্চিত করেন মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বুনু। লুকা মডরিচের বাড়ানো বলে ছোট বক্স থেক শট নিয়েছিলেন নিকোলা ভ্লাসিচ। কিন্তু মরক্কো গোলকিপার সেই বল আটকান দুর্দান্তভাবে। না হলে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে পারত ক্রোয়েশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার মান আরও খারাপ। ক্রোয়েশিয়াকে দখে কখনোই মনে হচ্ছিল না আগের বিশ্বকাপের রানার্স। বরং প্রতি আক্রমণে উঠে এসে মাঝে মাঝেই ক্রোট রক্ষণে হানা দিয়ে যাচ্ছিলেন জিয়েচরা। ৬৫ মিনিটে ৩০ গজ দুর থেকে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন হাকিমি জিয়েচ। পাঞ্চ করে বল বার করে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ডোমিনিক লিভাকোভিচ। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বলের দখল বেশি ছিল ক্রোয়েশিয়ার। কিন্তু গোলের সুযোগ বেশি এসেছিল মরক্কোর সামনে। একেবারে শেষ দিকে চাপ বাড়ালেও কাজের কাজ করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।
❤ Support Us