- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
রাজভবন থেকে সরছে পুলিশ, নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে সিআরপিএফ !

রাজ্যপালের ওপর পুলিশের নজরদারির জেরে রাজ্যপালের নালিশের পরেই রাজভবনের পদক্ষেপ। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে ফের একবার তীব্র রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা ও গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে পুলিশকে সরানোর নির্দেশ, খবর রাজভবন সূত্রে।
রাজভবন থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনুমানিক ৫০ জন পুলিশকে সরানোর নির্দেশ। ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে সিআরপিএফ , রাজভবনে সিভি আনন্দ বোসের ওপর পুলিশি নজরদারির অভিযোগ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও।
বুধবার রাজভবনের যে অংশে রাজ্যপাল থাকেন তার কাছে পুলিশের সন্দেহজনক আচরণের অভিযোগ ওঠে। আবাসিক এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলার পরেও ২ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুরে ফিরে সেই জায়গায় আসার অভিযোগ করা হয় রাজভবনের তরফে। এই ঘটনার পর জানা যাচ্ছে, রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা থেকে পুলিশকে সরিয়ে রাজভবনের ওই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সিআরপিএফ-কে। তবে কী কারণে রাজভবনের আবাসিক এলাকায় পুলিশ ঘোরাঘুরি করছিল, সেই বিষয়ে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি লালবাজারের তরফে।
এই মুহূর্তে রাজ্য-রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে ধূপগুড়ির জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। তার মধ্যে এবার রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় পুলিশি নজরদারির মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল ! যা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজভবন সূত্রে দাবি, বুধবার বিকেলে রাজভবনের যে অংশে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস থাকেন তার খুব কাছেই দু’জন পুলিশের সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে। আবাসিক এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলার পরেও ওই ২ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুরে ফিরে আবার একই জায়গায় আসার অভিযোগ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে।
রাজভবন সূত্রে খবর, ২ পুলিশ কর্মীর সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। যে এলাকায় তাঁরা পোস্টিং নয়, সেখানে কেন ঘোরাঘুরি করছিলেন ওই ২ পুলিশকর্মী ? তবে কি রাজ্যপালের ওপর নজরদারির চেষ্টা করা হচ্ছে ? ২ পুলিশ কর্মীকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তোষজনক জবাব মেলেনি বলে রাজভবন সূত্রে দাবি। তবে রাজভবনের এই অভিযোগ সম্পর্কে লালবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া লালবাজার থেকে পাওয়া যায়নি। এদিকে, এই ঘটনার পরই রাজভবনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বতুন করে রাজনৈতিক কাজিয়া।
এদিকে এই ঘটনায় রাজভবনের পক্ষ সমর্থন করে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “রাজ্যপালের ওপর নজরদারি রাজ্য সরকার করতেই পারে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তার পর সব সম্ভব।”
এদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, “বিজেপির সব নেতার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্যপাল আর বাদ যাবেন কেন?”
তবে এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “রাজভৱ রাজ্যের অধীন। সেখানে কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেটা রাজ্য ঠিক করবে। তবে রাজ্যের নিরাপত্তাকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রথম নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রাজ্যপাল সেই পথেই হাঁটছেন।”
❤ Support Us