- দে । শ
- এপ্রিল ১৯, ২০২৪
সীমান্তে ৭ হাজার টন সুপারি চোরাচালানের অভিযোগ।গ্রেফতার কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের আধিকারিক

বাংলাদেশে ৭ হাজার টন সুপারি চোরাচালানের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় শুল্ক দপ্তরের অফিসারে বিরুদ্ধে। সীমান্তে পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার শুল্ক দপ্তরের এক অফিসার। ধৃত শুল্ক অফিসারকে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত শুল্ক দপ্তরের অফিসারে নাম সমীর শঙ্কর। বুধবার রাতে শুল্ক দপ্তরের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী দল সমীর শঙ্করকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত সমীরের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কলকাতায় শুল্ক দপ্তরের কর্মরত ছিলেন। সমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এ বছর ৩১ জানুয়ারি ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের হেমনগর কোস্টাল থানার সামশেরনগর এলাকায় রায়মঙ্গল নদীতে ২ টি যন্ত্র চালিত নৌকা বিএসএফ আটক করে । নৌকায় ২৭ জনের একটি বাংলাদেশী পাচারকারী দল ছিল। তাদেরও গ্রেপ্তার করে বিএসএফের ১১৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা ও শুল্ক দপ্তরে অতিরিক্ত দুর্নীতি দমন শাখা যৌথ অভিযান চালিয়ে। উদ্ধার হয় ১১৫২ বস্তা সুপারি। যার মোট ওজন ৭০,৩২টন । উদ্ধার হওয়া সুপারির বাজার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ৪ কোটি টাকা। তদন্তে নেমে শুল্ক দপ্তরের দুর্ণীতি দমন শাখার আধিকারিকরা জানতে পারে এই পাচারের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন শুল্ক দফতরে আধিকারিক সমীর শঙ্কর । তদন্তের স্বার্থে সীমান্তে মানব ও সুপারি পাচারে অভিযোগে খোদ শুল্ক দপ্তরের আধিকারিককে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন শাখা । আজ, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শুল্ক দপ্তরের অফিসারক বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
❤ Support Us