- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- অক্টোবর ২২, ২০২৪
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ল্যান্ডফল দানার, লাল সতর্কতা জারি

সাগরদ্বীপ থেকে ৭০০ কিমি দূরে মাঝসমুদ্রে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আজ রাতের মধ্যেই এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর গতি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসবে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্থলভাগে ল্যান্ডফল করবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের ৯টি জেলার সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বুধবার থেকেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপটি ক্রমশ পশ্চিম এবং উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আরও ঘনীভূত হয়ে বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপটি। ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝে ধামরাবন্দর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল করার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড় দানার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত উপকূলভাগে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ঝড় তাণ্ডব চালাবে। নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। নিম্নচাপের প্রভাব ক্রমশ বাড়বে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। তার সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি এবং হাওড়া জেলাতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমনি, শঙ্করপুরে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝড় বইতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই ঝড়ের দাপট থাকবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। ওড়িশাতেও বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। পুরী এবং দিঘা থেকে পর্যটকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওড়িশার ১৪টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলার স্কুলগুলিতে ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের শুধু উপকূলবর্তী জেলা নয় বাঁকুড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। বুধবার থেকেই আবহাওয়া বদলাতে শুরু করবে বলে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেই কারণে আগে থেকেই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ইন্ট্রিগ্রেটেড কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। বুধবার থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সর্বত্র মাইকিং চলছে।’ দুর্যোগ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে রয়েছেন মণীশ জৈন, উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বে রাজেশ কুমার সিংহ, হাওড়ায় রাজেশ পাণ্ডে, পশ্চিম মেদিনীপুরের সুরিন্দর গুপ্ত, হুগলিতে ওমপ্রকাশ সিংহ মিনা, পূর্ব মেদিনীপুরে পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, ঝাড়গ্রামে সৌমিত্র মোহন এবং বাঁকুড়ার দায়িত্বে অবনীন্দ্র শীল।
❤ Support Us