- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১২, ২০২৩
“আসুন সবাই নির্বাচনের মুখোমুখি হই”, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরদিনই বললেন উদ্ধব

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী একনাথ শিন্ডে এবং তার মিত্র বিজেপিকে নতুন নির্বাচনের মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখানোর আহ্বান জানালেন। শিবসেনার দুটি উপদলের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের একদিন পরে উদ্ধব এই আহ্বান জানালেন বিরোধীদের।
উদ্ধব তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আসুন আমরা সবাই নতুন ভাবে নির্বাচনের মুখোমুখি হই এবং জনগণকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দিই। আমি যেমন পদত্যাগ করেছি, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে একনাথ শিন্ডেরও নৈতিকতার দায়ের কথা মাথায় রেখে পদত্যাগ করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন যে বিধানসভার স্পিকার যদি শিবসেনা বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে আহ্বান না করেন, যারা গত বছর বিদ্রোহ করেছিলেন, যার ফলে তাঁর সরকার পতন হয়েছিল, তিনি আবারও তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। উদ্ধব আরও বলেছেন,”আমরা আগে যেমন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম, স্পিকার যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে আমরা আবারও সুপ্রিম কোর্টে যাব। আপাতত, স্পিকার বিদেশে আছেন। তিনি ফিরে এলে তাঁর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও বলতে চাই যে দেশে একটি ‘নাঙ্গা নাচ’ চলছে, এবং আপনার এটি বন্ধ করা উচিত। মহারাষ্ট্রের নাম সারা বিশ্বে নষ্ট করা হচ্ছে। এটি হওয়া উচিত নয়।”
প্রসঙ্গত, সেই থেকেই উদ্ধব শিবিরের বক্তব্য ছিল, শিণ্ডে যেভাবে শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছেন, সেটা বেআইনি। শিণ্ডে-সহ ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ বাতিল হওয়া উচিত বলেও দাবি করেন উদ্ধব ঠাকরে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা পুনর্দখলের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, উদ্ধব ঠাকরে যেহেতু আস্থাভোটে অংশ না নিয়েই পদত্যাগ করেছিলেন, তাই তাঁর সরকারকে পুনর্বহাল করা সম্ভব নয়। যার অর্থ শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া একনাথ শিণ্ডের সরকার আপাতত বহাল থাকছে মহারাষ্ট্রে।
সুপ্রিম কোর্ট শুনানিতে বলে, গত বছরের জুনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য শিন্ডে এবং অন্যান্য ১৫ জন বিধায়ককে পদ বাতিল করতে পারে না।
প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার বলেছিলেন, “ভগত সিং কোশিয়ারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে, অন্যরা বেআইনি কিছু করার আগে ভাববে, বেআইনি কিছু করবে না।”
❤ Support Us