Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

নিখোঁজ আদিবাসী কিশোরীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য সন্দেশখালিতে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নিখোঁজ আদিবাসী কিশোরীর দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য সন্দেশখালিতে

নিখোঁজ আদিবাসী কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালি ঘোষপুর গ্রামে। গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। আজ, শনিবার সকালে তার দেহ উদ্ধার হয়ে সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের ন্যাজাট থানার ঘোষপুর এলাকায় বাড়ির কাছেই ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃত কিশোরীর নাম সরমা মুন্ডা (‌১৮)‌। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাবা নেই। কয়েক বছর আগে মারা গেছে। কিশোরীর মা সাগরী মুন্ডা ঘোষপুর গ্রামে হরিদাস মন্ডলের বাড়িতেই তাঁর পালিতা কন্যা থাকেন। হরিদাস বাবুর বাগান, গরু দেখভাল করেন। নিহত কিশোরী সরমাও মায়ের সঙ্গেই থাকে। হরিদাসবাবু ও তাণর স্ত্রী সরমাকে নাতনির মতই দেখেন। ওই পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে অপহরণ করে তাকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে খুনের আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।

জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে সেভাবেই তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন চপলা মন্ডল। তবে পুলিশ খুনের ঘটনা স্বীকার করলেও, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে মেনে নেয় নি। পুলিশ এ ব্যপারে এখনও মুখ খোলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পেলে এ বিষয়ে পুলিশ কোন কথা বলতে চাইছে না। পুলিশ জানায়, মেয়েটি গত ৪ ডিসেম্বর, বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ সকালে মেয়েটির বাড়ির কাছেই একটি পুকুরের দেহ ভাসতে দেখে এলাকার মানুষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। মেয়েটির হাত, পা, মুখ দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। দেহ যাতে জলে ভেসে উঠতে না পারে সেজন্য কোমরের সঙ্গে ইট বেঁধে জলে ফেলে দেয় আততায়ী। ন্যাজাট থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। কিশোরীর পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর বিকালে ঘোষপুর এলাকায় থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তাঁদের মেয়ে।

ঘটনার দিন রাতেই মেয়েটির মা ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেল বেলা মায়ের সঙ্গে গোয়াল ঘরে এসেছিল মেয়েটি। কাজ মিটে গেলে মা গোয়াল ঘর থেকে বাড়িতে চলে ফিরে আসেন। মেয়ে তখন ওখানেই কাজ করছিল। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই আদিবাসী কিশোরী। বসিরহাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, এসডিপিও হাসনাবাদ ওমর আলি নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ পুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার করে । ঠিক কী কারণ ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ বলেন, অনেকগুলো তথ্য আমাদের হাতে এসেছে তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে ধর্ষণ হয়েছে কিনা জানা যাবে। কিশোরীর সম্পর্কে ঠাকুমা চপলা মন্ডল জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে এই ঘটনার সঠিক তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!