Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ৪, ২০২৩

মণিপুরে অশান্তি অব্যাহত। আদিবাসী ছাত্রদের মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক এলাকা।আট জেলায় কার্ফু, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। চলছে সেনা টহলদারি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মণিপুরে অশান্তি অব্যাহত। আদিবাসী ছাত্রদের মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্যের একাধিক এলাকা।আট জেলায় কার্ফু, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। চলছে সেনা টহলদারি

মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনা থামার যেন কোনো অন্ত নেই। বনাঞ্চল ও জলাভূমির র অধিকার নিয়ে আদিবাসীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতের আবহে আবার উত্তপ্ত হল ইম্ফল। আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্ত রাজ্যের একাধিক এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় পুলিশ ও আধা সেনা। প্রশাসন সূত্রে খবর, হিংসার ঘটনায়  গতকাল রাত থেকে এখনও পররযন্ত ১১ জন আহত হয়েছে। যার মধ্যে দুজনের  অবস্থা গুরুতর।  স্থানীয় হাসপাতালে  তাঁদের চিকিৎসা চলছে।   প্রশাসনের পক্ষ থেকে আট জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ, আগামী পাঁচ দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা করেছেন এবং  রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে তার মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন।

মণিপুর প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে চূড়াচাদপুরের তোরাবাঙ্গ এলাকায় আদিবাসী ঐক্য মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তাকে  ঘিরেই দফায় দফায় উত্তেজনা ও অশান্তি ছড়ায়। সংঘর্ষে  জড়িয়ে পরেন মূল নিবাসী ও সাধারণ মানুষ।  তোরবাঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা  টায়ার ও অন্যান্য জিনিস পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। একাধিক সরকারি ভবনে অগ্নি সংযোগ করা হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পথে নামানো হয় অসম রাইফেলসের আধিকারিকদের ও আধাসেনাকে। লাগাতার টহল দারি চলছে বিভিন্ন এলাকায়।৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে সেনা শিবিরে আনা হয়েছে। হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার মেরি কম।টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, আমার রাজ্য জ্বলছে, দয়া করে সাহায্য করুন।

স্থানীয় মেইটেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে আদিবাসীদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। সম্প্রতি মেইটেইদের পক্ষ থকে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবি ওঠে। রাজ্য সরকার সে দাবি মেনে নিলে ক্ষুব্ধ হয় কুকি সহ একাধিক আদিবাসী সংগঠন। তাঁরা সকলে মিলে এপ্রস্তাবের বিরোধিতা করে। আদিবাসীদের দাবি, মেইটেইদের তফশিলির তকমা দিলে তাঁদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। এ ব্যাপারে মণিপুর হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে  ভাবনা-চিন্তা করার নির্দেশ দিলে তা আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করে। তার বিরুদ্ধে মিছিলের ডাক দেয় মণিপুরের আদিবাসী  ছাত্র সংগঠন।

বার বার রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর এন বীরেন সিং এর সভাস্থলে  ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল একাধিক এলাকার পরিস্থিতি।বুধবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। কংগ্রেস অবশ্য এ ঘটনায় বিজেপি  সরকারের ঘৃণার রাজনীতিকে  দায়ী করেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!